খােলা বাজার২৪, সোমবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭: দেশের তৈরি পোশাক খাত সংস্কার এগিয়ে নিতে সামাজিক সংলাপ প্রয়োজন বলে মনে করেন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানিত ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, দেশের পোশাক কারখানাগুলোকে কমপ্লায়েন্সের (উন্নত কর্মপরিবেশ) আওতায় আনতে গিয়ে কারখানা বন্ধ হচ্ছে, শ্রমিক ছাঁটাই হচ্ছে এবং উদ্যোক্তা হারিয়ে যাচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে। উদ্যোক্তা হারিয়ে গেলে তা তৈরি করা কঠিন। তাই এসব বিষয় আলোচনায় একটি সামাজিক সংলাপ প্রয়োজন।
গতকাল ডেইলি স্টার ভবনে বাংলাদেশের পোশাক খাতের কষ্ট এবং প্রাপ্তির ওপর ডেইলি স্টার ও বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে এ আহ্বান জানানো হয়।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য কারখানা সংস্কারসহ এ খাতের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরে বলেন, দেশের পোশাকশিল্প খাত বর্তমানে নানা সমস্যার মধ্য দিয়ে সময় পার করছে। এটা বর্তমান সময়ের বাস্তবতা। তবে এর মধ্য দিয়ে সামনের যে ভবিষ্যৎ চিন্তা করা হচ্ছে, সেটা অনেক লাভের। এ খাতের উদ্যোক্তাদের এ কষ্টকে লাভে পরিণত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
ড. দেবপ্রিয় বলেন, ‘কষ্টটা খুবই বাস্তব, যেটা আমরা দেখতে পাচ্ছি। লাভ যেটা হবে, সেটা সম্ভাবনার বিষয়। ওটা অর্জন করতে হবে। এই কষ্টকে লাভের জায়গায় নিয়ে যেতে হবে। কিছু একটা যখন আমরা করছি, কিছু না কিছু পাবই। এর জন্য এ খাতের উদ্যোক্তাদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। ‘
অনুষ্ঠানে একটি গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন সান ফ্রানসিসকো ইউনিভার্সিটির অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসাইন। সঞ্চালনা করেন দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। বিজিএমইএর ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহমুদ হাসান খান, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান জামিল আজহার, ডেইলি স্টারের অ্যাসোসিয়েট এডিটর, ক্রেতাদের প্রতিনিধি ও শ্রমিক সংগঠনের নেতারা বক্তব্য দেন। এ সময় বিভিন্ন ধরনের সমস্যা এবং সম্ভাবনার বিষয়ে আলোচনা হয়। এ আলোচনা সংক্ষেপে তুলে ধরেন দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
দেবপ্রিয় বলেন, ‘বাংলাদেশের বস্ত্র খাত সর্বদাই অভ্যন্তরীণ এবং বৈশ্বিক ঝুঁকির মধ্যে থেকে বড় হয়েছে। এটিই বাস্তবতা এবং এ ঝুঁকি অব্যাহত থাকবে। পুরনোটা চলে যাবে আবার নতুন একটা আসবে। এর মধ্য দিয়েই বাংলাদেশের পোশাক খাত বিকাশ লাভ করেছে ও করবে। এর সঙ্গে মনে রাখতে হবে, বাংলাদেশের পোশাক খাতও টিকে থাকার মতো যোগ্যতা দেখিয়েছে। ‘
গত সাড়ে তিন দশকে বাংলাদেশের পোশাক খাতের (৯৫-৯৬ সাল) কোটামুক্ত সুবিধায় প্রবেশ করা, শিশুশ্রম, ২০০৮-০৯ সালের বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা এবং সর্বশেষ ২০১৩ সালে ঘটে রানা প্লাজা ধসের ঘটনা। এ চারটি ঘটনাই পোশাক খাত সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে মুকাবিলা করে টিকে রয়েছে। এতে নিজেদের যোগ্যতাও প্রমাণিত হয়েছে বলে আলোচনায় উঠে আসে।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, এ চারটা ধাপ পার হয়ে এসে যেটা দেখা গেছে, একই সঙ্গে বৈশ্বিক পরিবর্তনশীল পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর জন্য প্রতি মুহূর্তে কাঠামোগত ও নীতিগত সংস্কারের মধ্য দিয়ে চলতে হয়েছে। এটিই শক্তির জায়গা। এর অন্যতম উৎস হলো বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত আমাদের দেশজ শিল্পপতিদের দ্বারা সৃষ্টি। তারা দেশের কাঠামোর সঙ্গে সংযুক্ত থাকার ফলে তাদের সামঞ্জস্য বিধান করার সক্ষমতাটা দেশের ভেতরই থেকে আগামী দিনের পথ খুঁজে নেয়। এটিই হলো সবচেয়ে আশা এবং যোগ্যতার বিষয় বাংলাদেশের পোশাক খাতের জন্য।
আর বর্তমানের চ্যালেঞ্জ থেকে উত্তরণের জন্য তিনটি বিষয় বাস্তবায়নে গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেছেন আলোচকরা। তাঁদের মতে, প্রথমত উন্নত পরিবেশ, নীতি এবং মানের উন্নয়নের সঙ্গে নিশ্চিত করতে হবে উৎপাদনশীলতা বাড়ানো, দ্বিতীয়টি হলো এ ধরনের গুণমান এবং পরিবেশ রক্ষা করলে আমাদের শ্রমিকরা মজুরি এবং মজুরিবহির্ভূত ক্ষেত্রে কোনো না কোনোভাবে সুবিধা পাবে এবং তৃতীয়টি হলো এই সব গুণমানসম্পন্ন ব্যবস্থা আমরা গ্রহণ করলে একই সঙ্গে মালিকদের লাভ হবে, আবার মুনাফাও বাড়বে। এ তিনটি লক্ষ্যকে একসঙ্গে করে একে ত্রিশূল বলা হচ্ছে।
আলোচকরা জানান, ত্রিশূলের আঘাতে ছোট কারখানাগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। কারণ এটা সবার জন্য সমানভাবে সত্য নয়। বড়দের জন্য যেটা সত্য, ছোটদের জন্য সেটা অন্য রকম। উদ্যোক্তা হারিয়ে গেলে সেটা আবার তৈরি করা সহজ নয়। এটা হচ্ছে আমাদের কষ্টের জায়গা।
দেশের তৈরি পোশাক খাত সংস্কার এগিয়ে নিতে সামাজিক সংলাপ প্রয়োজন বলে মনে করেন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানিত ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, দেশের পোশাক কারখানাগুলোকে কমপ্লায়েন্সের (উন্নত কর্মপরিবেশ) আওতায় আনতে গিয়ে কারখানা বন্ধ হচ্ছে, শ্রমিক ছাঁটাই হচ্ছে এবং উদ্যোক্তা হারিয়ে যাচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে। উদ্যোক্তা হারিয়ে গেলে তা তৈরি করা কঠিন। তাই এসব বিষয় আলোচনায় একটি সামাজিক সংলাপ প্রয়োজন।
গতকাল ডেইলি স্টার ভবনে বাংলাদেশের পোশাক খাতের কষ্ট এবং প্রাপ্তির ওপর ডেইলি স্টার ও বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে এ আহ্বান জানানো হয়।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য কারখানা সংস্কারসহ এ খাতের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরে বলেন, দেশের পোশাকশিল্প খাত বর্তমানে নানা সমস্যার মধ্য দিয়ে সময় পার করছে। এটা বর্তমান সময়ের বাস্তবতা। তবে এর মধ্য দিয়ে সামনের যে ভবিষ্যৎ চিন্তা করা হচ্ছে, সেটা অনেক লাভের। এ খাতের উদ্যোক্তাদের এ কষ্টকে লাভে পরিণত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
ড. দেবপ্রিয় বলেন, ‘কষ্টটা খুবই বাস্তব, যেটা আমরা দেখতে পাচ্ছি। লাভ যেটা হবে, সেটা সম্ভাবনার বিষয়। ওটা অর্জন করতে হবে। এই কষ্টকে লাভের জায়গায় নিয়ে যেতে হবে। কিছু একটা যখন আমরা করছি, কিছু না কিছু পাবই। এর জন্য এ খাতের উদ্যোক্তাদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। ‘
অনুষ্ঠানে একটি গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন সান ফ্রানসিসকো ইউনিভার্সিটির অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসাইন। সঞ্চালনা করেন দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। বিজিএমইএর ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহমুদ হাসান খান, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান জামিল আজহার, ডেইলি স্টারের অ্যাসোসিয়েট এডিটর, ক্রেতাদের প্রতিনিধি ও শ্রমিক সংগঠনের নেতারা বক্তব্য দেন। এ সময় বিভিন্ন ধরনের সমস্যা এবং সম্ভাবনার বিষয়ে আলোচনা হয়। এ আলোচনা সংক্ষেপে তুলে ধরেন দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
দেবপ্রিয় বলেন, ‘বাংলাদেশের বস্ত্র খাত সর্বদাই অভ্যন্তরীণ এবং বৈশ্বিক ঝুঁকির মধ্যে থেকে বড় হয়েছে। এটিই বাস্তবতা এবং এ ঝুঁকি অব্যাহত থাকবে। পুরনোটা চলে যাবে আবার নতুন একটা আসবে। এর মধ্য দিয়েই বাংলাদেশের পোশাক খাত বিকাশ লাভ করেছে ও করবে। এর সঙ্গে মনে রাখতে হবে, বাংলাদেশের পোশাক খাতও টিকে থাকার মতো যোগ্যতা দেখিয়েছে। ‘
গত সাড়ে তিন দশকে বাংলাদেশের পোশাক খাতের (৯৫-৯৬ সাল) কোটামুক্ত সুবিধায় প্রবেশ করা, শিশুশ্রম, ২০০৮-০৯ সালের বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা এবং সর্বশেষ ২০১৩ সালে ঘটে রানা প্লাজা ধসের ঘটনা। এ চারটি ঘটনাই পোশাক খাত সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে মুকাবিলা করে টিকে রয়েছে। এতে নিজেদের যোগ্যতাও প্রমাণিত হয়েছে বলে আলোচনায় উঠে আসে।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, এ চারটা ধাপ পার হয়ে এসে যেটা দেখা গেছে, একই সঙ্গে বৈশ্বিক পরিবর্তনশীল পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর জন্য প্রতি মুহূর্তে কাঠামোগত ও নীতিগত সংস্কারের মধ্য দিয়ে চলতে হয়েছে। এটিই শক্তির জায়গা। এর অন্যতম উৎস হলো বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত আমাদের দেশজ শিল্পপতিদের দ্বারা সৃষ্টি। তারা দেশের কাঠামোর সঙ্গে সংযুক্ত থাকার ফলে তাদের সামঞ্জস্য বিধান করার সক্ষমতাটা দেশের ভেতরই থেকে আগামী দিনের পথ খুঁজে নেয়। এটিই হলো সবচেয়ে আশা এবং যোগ্যতার বিষয় বাংলাদেশের পোশাক খাতের জন্য।
আর বর্তমানের চ্যালেঞ্জ থেকে উত্তরণের জন্য তিনটি বিষয় বাস্তবায়নে গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেছেন আলোচকরা। তাঁদের মতে, প্রথমত উন্নত পরিবেশ, নীতি এবং মানের উন্নয়নের সঙ্গে নিশ্চিত করতে হবে উৎপাদনশীলতা বাড়ানো, দ্বিতীয়টি হলো এ ধরনের গুণমান এবং পরিবেশ রক্ষা করলে আমাদের শ্রমিকরা মজুরি এবং মজুরিবহির্ভূত ক্ষেত্রে কোনো না কোনোভাবে সুবিধা পাবে এবং তৃতীয়টি হলো এই সব গুণমানসম্পন্ন ব্যবস্থা আমরা গ্রহণ করলে একই সঙ্গে মালিকদের লাভ হবে, আবার মুনাফাও বাড়বে। এ তিনটি লক্ষ্যকে একসঙ্গে করে একে ত্রিশূল বলা হচ্ছে।
আলোচকরা জানান, ত্রিশূলের আঘাতে ছোট কারখানাগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। কারণ এটা সবার জন্য সমানভাবে সত্য নয়। বড়দের জন্য যেটা সত্য, ছোটদের জন্য সেটা অন্য রকম। উদ্যোক্তা হারিয়ে গেলে সেটা আবার তৈরি করা সহজ নয়। এটা হচ্ছে আমাদের কষ্টের জায়গা।