খােলা বাজার২৪, সোমবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭: নাটোরে অসম্পূর্ণ কমিটি দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই করা তালিকা বাতিলের দাবী করেছেন নাটোর সদর উপজেলায় আবেদনকৃত মুক্তিযোদ্ধারা। সোমবার নাটোর প্রেসক্লবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সরকারী ঘোষণা অনুযায়ী জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল চলতি বছরের জানুযারী মাস থেকে সারাদেশে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কার্যক্রম শুরু করে। নির্দেশনা অনুযায়ী নাটোর সদর উপজেলায় সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। গঠিত কমিটির সদস্য জেলা কমান্ডারের প্রতিনিধি সুজিত কুমার গোস্বামীর পরিবর্তে নাটোর জেলা আওামী লীগের সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট মোঃ সিরাজুল ইসলামকে অন্তভুর্ক্ত করে জেলা কমান্ডার ও জামুকা প্রতিনিধি হিসেবে দুই জায়গায় রাখা হয়। এক দফা পেছানোর পর যাচাই-বাছাইয়ের তারিখ ও সময় পুনরায় নির্ধারণ করা হয়। কমিটির সভাপতি জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুর রউফ সরকার ও জামুকা প্রতিনিধি মহিতোষ সরকারকে বাদ দিয়ে পাঁচ সদস্যের কমিটি দিয়ে প্রথম দিন যাচাই-বাছাই করা হয়। কমিটির সদস্য আব্দুস সাত্তার অসুস্থ্য হয়ে অনুপস্থিত থাকায় সভাপতির সাথে মাত্র তিন জনকে দিয়ে বিধিবহির্ভূতভাবে যাচাই-বাছাই কার্যক্রম চলতে থাকে। মুক্তিযোদ্ধারা অভিযোগ করেন, যাচাই-বাছাই এর ওই কমিটি অনিমতান্ত্রিক ভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করেছে। সংক্ষুদ্ধ মুক্তিযোদ্ধাদের আপিলের সুযোগ থাকলেও লাল মুক্তিবার্তার সাক্ষী ও অর্থাভাবে অনেকেই আপিল করতে পারবেন না। মুক্তিযোদ্ধারা প্রস্ততকৃত নতুন তালিকা প্রত্যাখান করে পুনরায় যাচাই-বাছাইয়ের দাবী জানিয়েনে। সংবাদ সম্মেলনে আবেদনকারী মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রেজাউল করিম খান। এসময় আবেদনকারী মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আব্দুল্লাহ আল মামুন লুলু, আব্দুস সাত্তার, আবুল কালাম আজাদ, মুকুল সাহাসহ শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা।