খােলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭: খুলনা বিভাগ থেকে শুরু হওয়া অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট মঙ্গলবার ভোর ৬টা থেকে দেশব্যাপী পালিত হচ্ছে। চুয়াডাঙ্গায় এক চালককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পর সোমবার সাভারের এক চালককে ফাঁসির আদেশ দেন আদালত। এর পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার রাতে শ্রমিক ফেডারেশনের নেতারা দেশব্যাপী ধর্মঘট আহ্বান করেন।
খুলনা জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন সোনা বলেন, ‘আজ ভোর ৬টা থেকে দেশব্যপী পরিবহন ধর্মঘট চলছে। খুলনার অভ্যন্তরীন রুটগুলোতেও মিনিবাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘সোমবার দুপুর থেকে ধর্মঘট নিয়ে সৃষ্ট দ্বিধা দ্বন্দ্ব কাটিয়ে শ্রমিকরা বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়ে ধর্মঘট পালন করছে।’
বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের খুলনা বিভাগীয় কমিটির সভাপতি আজিজুল আলম মিন্টু জানান, মঙ্গলবার ভোর ৬টা থেকে যশোর, খুলনা, মাগুরা, চুয়াডাঙ্গাসহ বিভাগের কোনও এলাকা থেকে কোনও ধরনের পরিবহন চলাচল করছে না। শ্রমিকরাও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবস্থান নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করছেন।
এদিকে, দৌলতপুর থেকে বাগেরহাটগামী লায়লা আক্তার বলেন, ‘ধর্মঘটের কারণে অনেক কষ্ট করে অফিসে যেতে হচ্ছে। প্রথমে রূপসা গিয়ে নদী পাড় হতে হয়। এরপর ভ্যানযোগে ঝুঁকি নিয়ে ১০ থেকে ১২ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে কাটাখালী যেতে হচ্ছে। সেখান থেকে মাহেন্দ্রযোগে যেতে হচ্ছে আরও ৪০ কিলোমিটার পথ। এতে সময়ও বেশি লাগছে।’
খালিশপুর থেকে সোনাডাঙ্গা বাস স্ট্যান্ডে পরিবার নিয়ে আসা আকবর শেখ বলেন, ‘সোমবার দুপুরের পর থেকে জানা গেল ধর্মঘট প্রত্যাহার হয়েছে। তাই মঙ্গলবার বরিশাল যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। সে অনুযায়ী, পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে আসি। কিন্তু এসেই বিপদে পড়তে হয়। বাস চলাচল বন্ধই রয়েছে।’
ধর্মঘটের কারণে সকাল থেকে মাসকান্দা কেন্দ্রীয় ও পাটগুদাম আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল থেকে ঢাকাসহ সারা দেশের উদ্দেশে কোনও বাস ছেড়ে যায়নি।
মাসকান্দা বাস টার্মিনালের সুপারভাইজার মিলন মিয়া জানান, পরিবহন শ্রমিকদের ধর্মঘটের কারণে সকাল থেকেই বাস চলাচল বন্ধ আছে।
এদিকে, বাস চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীরা পড়েছেন দুর্ভোগে।