খােলা বাজার২৪।। বৃহস্পতিবার, ২ মার্চ ২০১৭ : বগুড়ার শেরপুরের জামনগর গ্রামে গত বুধবার দিবাগত ভোর রাতে পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নব্য জেএমবির সামরিক শাখার অন্যতম প্রধান সংগঠক এবং উত্তরাঞ্চলীয় প্রধান আজিমুল ওরফে আল-আমীন ওরফে রনি (২৩) নিহত হয়েছে।
থানা সুত্রে জানা যায়, নিহত নব্য জেএমবির উত্তরাঞ্চলীয় সামরিক প্রধান আজিমুল ওরফে আল-আমিন ওরফে রনি(২৩)র দেয়া তথ্যানুযায়ী অস্ত্র উদ্ধারের জন্য গত বুধবার ভোর রাত ৩টার দিকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও শেরপুর থানা পুলিশ যৌথ অভিযান করার লক্ষে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী ভবানীপুর ইউনিয়নের জামনগর গ্রামের একটি ব্রিজের কাছে পৌছিলে আটককৃত জেএমবিকে ছিনিয়ে নেয়ার জন্য পুলিশের উপর অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা অতর্কিতভাবে গুলি চালায়। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এতে আটককৃত নব্য জেএমবির উত্তরাঞ্চলীয় সামরিক প্রধান আজিমুল হক গাড়ি থেকে পালাতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত হয়ে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায়। এসময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ০১টি ৭.৬৫ বিদেশী পিস্তল, ও দুটি ম্যাগজিন এবং তিন রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে । পরিস্থিতি নিওন্ত্রনে আনতে পুলিশ ফাকা গুলি ছুড়ে বলে থানা পুলিশ জানিয়েছেন।
নিহত নব্য জেএমবির উত্তরাঞ্চলীয় সামরিক প্রধান আজিমুল ওরফে আল-আমিন ওরফে রনি(২৩) বগুড়ার শেরপুর উপজেলার জুয়ানপুরে উদ্ধারকৃত বিস্ফোরক গ্রেনেড মামলার সন্দেহভাজন আসামী হওয়ায় তাকে গ্রেফতারের জন্য বগুড়ার গোয়েন্দা পুলিশের একটি চৌকষ দল গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার বুজরক রাজারামপুর গ্রামে অভিযান চালালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আজিমুল পালানোর চেষ্টার সময় ছুরিকাঘাতে গোয়েন্দা শাখার কনস্টেবল আব্দুস সালাম ও ইসমাইল হোসেন আহত হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এসময় পুলিশ জেএমবির আজিমুলকে গ্রেফতার করে বগুড়ায় নিয়ে আসে।
আটককৃতের দেয়া তথ্য অনুযায়ী অস্ত্র ও অন্যান্যদের জেএমবিদের গ্রেফতারের জন্য গত বুধবার রাতে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ভবানীপুরের জামনগর গ্রামে পৌছিলে পুলিশ ও জেএমবি সন্ত্রাসীদের সাথে গোলাগুলি হয় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি আমিরুল ইসলাম জানিয়েছেন।
নিহত আলা-আমীন রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ি উপজেলার বুজরুক রাজারামপুর গ্রামের নুরুল হকের ছেলে।
এ প্রসঙ্গে শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত বুলবুল ইসলাম জানান, নিহত আজিমুল শেরপুর উপজেলার জুয়ানপুর গ্রামের গ্রেনেড বিস্ফোরণ মামলার সন্দেহ ভাজন আসামী হওয়ায় তাকে গ্রেফতার ও তথ্যনুসারে অস্ত্র উদ্ধারের চেষ্টায় পুলিশের সন্ত্রাসীদের পাল্টা গুলির এক পর্যায়ে সে নিহত হয়। এ বিষয়ে শেরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে।