খােলা বাজার২৪।। বৃহস্পতিবার, ২ মার্চ ২০১৭ : জেলার মনোহরদীতে নারী পুলিশ কনস্টেবল আয়েশা আক্তার নীলা হত্যা মামলায় তার শ্বশুর জালাল উদ্দিন, দেবর সোহাগ, হিমেল ও কবিরের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে নরসিংদীর বিজ্ঞ আদালত। এদিকে এ হত্যার চার দিন পেরিয়ে গেলেও প্রধান আসামি স্বামী রুবেল মিয়াকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
আদালত সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার বিকেলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মনোহরদী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম তদন্তের স্বার্থে গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের সাতদিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। এ প্রেক্ষিতে আদালতের বিচারক রেজমিন সুলতানা আজ বৃহস্পতিবার ২ মার্চ পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আতালত।
নীলা হত্যার বিচারের দাবিতে হাফিজপুর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেছে। পরে নীলার বাড়িতে শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেয়। এ সময় মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম তাদের আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শান্তি দেওয়ার বিষয় আশ্বন্ত করেন।
নীলার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, তার বাবা ও মা শোকে স্তব্ধ। নীলার বাবা মফিজ উদ্দিন বলেন, পুলিশের চাকরি ছেড়ে দিতে রুবেল ও তার পরিবারের লোকজন নীলার ওপর চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। নীলা চাকরি ছাড়তে রাজি না হওয়ায় তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তিনি হত্যার বিচার দাবি করেন। নীলা হত্যার আসামি রুবেল মিয়ার বাড়ি গিয়ে দেখা যায়, বাড়িতে তালা ঝুলছে। কথা বলার মতো কাউকে পাওয়া যায়নি।
এলাকাবাসী জানান, ঘটনার পর থেকে এ বাড়ির লোকজন আত্মগোপনে রয়েছেন। তারা প্রথমে নীলা আত্মহত্যা করেছে বলে শুনতে পান। পরে জানতে পারেন এটি হত্যার ঘটনা।
মামলা সম্পর্কে জানতে চাইলে মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম, আসামি রুবেল যাতে বিদেশে পালিয়ে যেতে না পারেন, সেই জন্য ইমিগ্রেশনে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
গত রোববার সন্ধ্যায় মনোহরদী উপজেলার লেবুতলা ইউনিয়নের তারাকান্দী গ্রামের স্বামীর বাড়ি থেকে নারী পুলিশ কনস্টেবল আয়েশা আক্তার নীলার (২২) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে মনোহরদী থানায় প্রবাস ফেরত স্বামী রুবেল মিয়াকে প্রধান করে সাতজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলায় পুলিশের চাকরি না ছাড়ায় বিয়ের এক মাসের মাথায় স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন নীলাকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। পুলিশ শ্বশুর জালাল উদ্দিন, দেবর সোহাগ, হিমেল ও কবিরকে গ্রেপ্তার করেছে।