Thu. Mar 13th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলা বাজার২৪।। বৃহস্পতিবার, ২ মার্চ ২০১৭ : 75বর্তমান বিশ্বে শিক্ষা আর বানিজ্য ক্ষেত্রে যোগাযোগ ব্যবস্থা হলো প্রধান মাধ্যম। যে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা যত উন্নত সে দেশ শিক্ষা ও বানিজ্য ক্ষেত্রে তত বেশী উন্নত। আর এই জন্য চাই সরকারের উন্নত পরিকল্পনা। যা দেশের রাজনৈতিক নেতাদের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হয়। এই জন্য চাই স্থানীয় নেতা এমপি মহোদয়ের সঠিক নির্দেশনা ও বাস্তবায়নে সঠিক সিদ্ধান্তর পরামর্শ প্রধান মন্ত্রিও নিকট পেশ করা।
দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলার আজিমপুর ইউনিয়নের ঢেঁপা নদীর উপর ভদ্রবাজার ব্রীজটি এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায়। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিরল-বোচাগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর আন্তরিক প্রচেষ্টায় এবং বঙ্গবন্ধু কণ্যা মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার বরাদ্দকৃত প্রায় ১৪ কোটি টাকা অনুদানে পুর্ণভবা নদীর ব্রীজটির নির্মান কাজ শুরু হয় ১০ নভেম্বর’ ২০১১ ইং তারিখে। ব্রীজটি ১৭৫.০০ মিঃ পিসি গার্ডার ব্রিজ। ব্রীজটির ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধন করেন, দিনাজপুর-২ (বিরল-বোচাগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। ব্রীজটির নির্মান কাজ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) এর মাধ্যমে সমাপ্ত করা হয়। ব্রীজটির নির্মান কাজ বর্তমানে সমাপ্ত হলেও আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন এখনও করা হয়নি। এলাকার প্রাণ প্রিয় নেতা খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ছাড়া ব্রীজটি নির্মান হতোনা বলে মন্তব্য করেন এলাকাবাসী। তাই এলাকার মানুষের সাফ কথা প্রধান মন্ত্রি শেখ হাসিনা এবং খালিদ মাহমুদ ছাড়া ব্রীজটি উদ্বোধন হবেনা।
ঢেঁপা নদীর পশ্চিম পাড়ে দিনাজপুর সদর ও সদর উপজেলার নশীপুর অন্যপাড়ে বিরল উপজেলার আজিমপুর ইউনিয়ন। ফলে বিরল, বোচাগঞ্জ এবং কাহারোল উপজেলার সাথে দিনাজপুর সদরের অভাবনীয় যোগাযোগ এর সুত্র তৈরী হয়েছে। হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কারিগড়ী মহা বিদ্যালয় সহ দিনাজপুর শহরের শিক্ষালয় গুলি বিরল বাসীর হাতের নাগালে চলে আসলো। আজিমপুর থেকে হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা কারিগড়ী মহা বিদ্যালয়ের দুরত্ব ৪ কিলো মিটারের মধ্যে। অন্যদিকে দিনাজপুর সরকারী কলেজের দুরত্ব ৫ কিলো মিটারের মধ্যে। শিক্ষা ক্ষেত্রে ভদ্রবাজার ব্রীজটি প্রভাব এলাকার উন্নয়ন তরান্বিত করবে। আর এর সবটুকুই খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর নিশ্বার্থ অবদান। তাইতো এলাকার মানুষের শিরোমনি হয়ে মনের মনি কঠায় স্থান করে নিয়েছেন তিনি।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি নির্বচনী এলাকা বিরল-বোচাগঞ্জ মূলত কৃষি প্রধান এলাকা। এখানকার উৎপাদিত ফসল কৃষকরা বাজার জাত করতে সমুক্ষিন হতেন বিভিন্ন প্রকার বাধায়। ভদ্রবাজার ব্রীজ নির্মানের ফলে খুব সহজেই কৃষকদের উৎপাদিত ধান, গম, চাল, আম, লিচু ও শাক-সবজি খুব সহজেই পরিবহন করে বিভিন্ন হাট বাজারে বিক্রয় করতে পারেন কৃষকরা। ব্রীজ না থাকায় পুর্বে নৌকায় ও মাথায় করে পরিবহন করতে হতো কৃষকদের। এখন যানবাহনে নিমেশেই নিয়ে যেতে কোন কষ্ট হয়না। তাছাড়া ব্রিজ নির্মানের ফলে যোগাযোগ উন্নয়ন ঘটায়, শিক্ষা ক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটবে এতে কোন সন্দেহ নেই। শিক্ষার্থিরা পায়ে হেটে ও সাইকেল কিংবা মোটর সাইকেল যোগে খুব সহজেই বিশ্ব বিদ্যালয় সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসতে পারে। অন্য দিকে এলাকার শ্রমিকরা খুব সহজেই দিনাজপুর শহরে প্রবেশ করে কর্মক্ষেত্র খুজে পায়। তাদের দারিদ্রতা অভিসাপ থেকে মুক্তি পাবে।