Thu. Mar 13th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলা বাজার২৪।। শনিবার, ৪ মার্চ ২০১৭:  44৬মার্চ বড়াইগ্রাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচন। প্রার্থীরা তাই শেষ মুহুর্তের প্রচারণায় ব্যস্ত। ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে ভোট গ্রহনের সকল প্রস্তুতি। কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাঠানো শুরু হয়েছে ব্যালট পেপার ও বাক্স। সোমবারে চুড়ান্ত ভোট যুদ্ধের অপেক্ষায় রয়েছে উপজেলার ২ লাখ ৭ হাজার ৩৩৬ জন ভোটার। এই উপজেলার ২টি পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়নের মোট ৮১টি কেন্দ্রে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। আইন শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে র‌্যাব, বিজিবি ও পুলিশের বিপুল সংখ্যক সদস্য ভোটের সময় দায়িত্ব পালন করবে।
সরেজমিন এলাকা ঘুরে জানা গেছে, প্রতীক পাওয়ার পর থেকেই প্রচারণায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন প্রার্থীরা। ভোটারদের মন জয় করতে রাত-দিন নাওয়া-খাওয়া ভূলে মাঠে ব্যস্ত সময় পার করেছেন তারা। বিএনপি ও আওয়ামী লীগের দুই জন চেয়ারম্যান প্রার্থী তাদের কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে গ্রাম-গঞ্জ, পাড়া-মহল্লা, হাট-বাজার, শহর-বন্দর চষে বেড়াচ্ছেন। মাইকিং, পোষ্টারিং, উঠান বৈঠক, পথসভার পাশাপাশি ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুটে বেড়াচ্ছেন তারা।
এবারের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দুই বড় দলের একক প্রার্থী হওয়ায় তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হবে বলে সবাই মনে করছেন। এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়নে জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী ও বিএনপির প্রার্থী উপজেলা বিএনপির স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক সাবেক জোনাইল ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদুল ইসলাম রাসেল নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
বিএনপির প্রার্থী রাশেদুল ইসলাম রাসেল বিগত পাঁচ বছর জোনাইল ইউপি চেয়ারম্যান হিসাবে উপজেলা জুড়ে তার পরিচিতি রয়েছে। বিএনপির নেতাকর্মীরা উপজেলার সব এলাকাতেই মাঠে নেমে প্রচারণা চালাচ্ছেন। তাছাড়া এই উপজেলার বিগত দুটি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী চেয়ারম্যান হিসাবে নির্বাচিত হওয়ায় এবারও বিজয়ী হওয়ার ক্ষেত্রে তিনি ও তার অনুসারীরা যথেষ্ঠ আশাবাদী।
অপরদিকে, আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী ব্যক্তিগত ভাবে ঈদ-পূজা-বড়দিনে দরিদ্রদের মাঝে বিভিন্ন সামগ্রী বিতরণ, শীতবস্ত্র বিতরণসহ তার বিভিন্ন শিক্ষা ও সমাজসেবামূলক কর্মকান্ডের পাশাপাশি দক্ষ চিকিৎসক দম্পতি হিসাবে উপজেলা জুড়ে তার ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে। সে পরিচয়কে কাজে লাগিয়ে দ্বারে দ্বারে ভোট প্রার্থনা করছেন তিনি। তবে দলের একাংশের নেতাকর্মীরা এখনও মাঠে কিছুটা নিষ্ক্রিয় রয়েছেন। ব্যক্তিগত ভোটের পাশাপাশি মান-অভিমান কাটিয়ে দলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের ভোট নিজের বাক্সে নিতে পারলে তার বিজয়ী হওয়াটাও কঠিন হবে না বলেই মনে করছেন তার কর্মী সমর্থকরা।
তবে গোটা উপজেলা এখন নির্বাচনী প্রচারণায় সরগরম হয়ে উঠলেও বিজয়ের মালা কে গলায় পড়বেন সেটি দেখার জন্য সবাইকে ৬ মার্চ রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ একরামুল আলম মারা গেলে পদটি শুন্য হয়।
নাটোর জেলা নির্বাচন অফিসার ও এই নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মোঃ আবুল হোসেন জানিয়েছেন, নির্বাচনে সাধারন ভোটারদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে র‌্যাবের ছয়টি ও বিজিবির চারটিসহ প্রতিটি এলাকায় পুলিশের ভ্রাম্যমান টিম দায়িত্ব পালন করবে।