খােলা বাজার২৪।। রবিবার, ৫ মার্চ ২০১৭: জামালপুর সদর উপজেলাধীন ১২নং তিতপল্লা ইউনিয়নের কামালখান বাজারটি কিছু প্রভাবশালীরা রাতারাতি দখল করে নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগে জানা যায়, এখানে সপ্তাহে দুইদিন শনি ও মঙ্গলবার হাট বসে। শনি ও মঙ্গল বার ছাড়াও প্রতিদিন বিকেলে মাছ তরীতরকারীর বাজারও বসে আসছে দীর্ঘদিন যাবত। বাজারটি দীর্ঘদিনের পুরানো বাজার হিসাবেও সুনাম রয়েছে। বাজারটিতে অসহায় ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে কেয়ার বাংলাদেশ লিমিটেড এর সহযোগিতায় তিনটি আধাপাকা টিনসেড ঘর নির্মাণ করে দেয়া হয়। কিন্তু বাজারের ইজারাদার নূরুল ইসলামের সহযোগিতায় মাছ হাটির টিনসেড ঘর ও কাপড় ব্যবসায়ীদের সেডঘর, মসলা, গুড়সহ বিভিন্ন শ্রেণীর মিষ্টান্ন দব্যাদি বিক্রয় করা সেড ঘরগুলি রাতারাতি বেদখল হয়ে যায়। এই টিনসেড ঘরগুলি ইজারাদারের সহযোগিতায় লাবলু ফকির, গেদা ফকির রাতারাতি জবর দখল করে নেন বলে ব্যবসায়ীরা জানান।
জানা যায়, লাবলু ফকির দখল করে নিয়ে খাবার হোটেল বানিয়েছে, গেদা ফকির ডেকোরেশনের দোকান, এছাড়া আরো ৫টি রুম ইজারাদার নূরুল ইসলাম ও লাবলু ফকির মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে ভাড়া দিয়েছেন। এদিকে বাজারের মাছ ব্যবসায়ীরা খোলা আকাশের নিচে বসে মাছ বিক্রি করছেন। দেখা দিয়েছে নানা ধরনের সমস্যা। সেডঘরগুলি উদ্ধার করা না হলে যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী ঘটনা ঘটতে পারে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
বাজারের মাছ ব্যবসায়ী মাসুদ রানা বলেন, আমাদের মাছ বিক্রির টিনসেড ঘরটি রাতারাতি সন্ত্রাসী কায়দায় দখল করে নিয়েছে গেদা ফকির, লাবলু ফকির ও বাজারের ইজারাদার নুরুল ইসলাম। বর্তমানে মাছ বিক্রি করার জায়গা না থাকায় পরিবার নিয়ে খুব কষ্টে দিনাকিপাত করছে জানান মাসুদ রানা। মাছ বিক্রির টিনসেড ঘরটি ফেরত না দেয়া পর্যন্ত আমরা (ব্যবসায়ীরা) কেউ মাছ বিক্রি করবো না বলেও অভিমান করে জানান তিনি।
কাপড় ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান বলেন, এ বাজারে আমি দীর্ঘদিন যাবত কাপড় ব্যবসা পরিচালনা করিয়া আসছিলাম কিন্তু হঠাৎ করেই রাতারাতি সন্ত্রাসী কায়দায় দখল করে নিয়েছে গেদা ফকির, লাবলু ফকির ও বাজারের ইজারাদার নুরুল ইসলাম। আমরা এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ চাই।
এ বিষয়ে তিতপল্যা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ হারুনুর রশিদ সেলিমের সাথে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার মোবাইল ফোনটি বার বার বন্ধ পওয়া যায়।