খােলা বাজার২৪।। মঙ্গলবার, ৭ মার্চ ২০১৭: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য রোড ম্যাপ তৈরি করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। শিগগিরই এটি চূড়ান্ত হবে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন ইসি সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ। এদিকে জাতীয় নির্বাচনের কর্ম-পরিকল্পনার পাশাপাশি নতুন কমিশন তাদের মেয়াদকালের ৫ বছরের করণীয় বিষয়েও একটি বিস্তারিত রোডম্যাপ তৈরি করবে বলে কমিশন সূত্রে জানা গেছে।
সোমবার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পরবর্তী নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনার কথা জানান। কমিশন সচিব এই কর্মপরিকল্পনার খসড়া প্রায় শেষ করে এনেছেন বলেও এ সময় তিনি জানান। তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচন কমিশনের করণীয় বিষয়ে চেকলিস্ট তৈরি করছি। আশা করি, ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে সম্পন্ন হবে। আমরা কমিশন সভায় এটা উত্থাপন করব। মার্চের মধ্যেই অনুমোদন পাবে।’
কর্মপকিল্পনার প্রকৃত উদ্দেশ্য ১১তম সংসদ নির্বাচন উল্লেখ করে ইসি মুখপাত্র বলেন, ‘আমাদের সামনে সব থেকে বড় ইস্যু হচ্ছে সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচনের জন্য কী কী করণীয়। কতদিনে মধ্যে কোন কাজটি করতে হবে, সে লক্ষ্য সামনে রেখেই এটি করা হচ্ছে।’
কর্মপকিল্পনাটি কোন ধরনের হবে—এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘আমরা নির্বাচনের জন্য কখন কোন কাজটি করব, সেটাই নির্ধারণ করা হবে। সরকার যেমন ভিশন ২০২০ একটি রোডম্যাপ করেছে, আগামী নির্বাচনের জন্য কমিশনের পক্ষ থেকেও তেমনি একটি রোডম্যাপ করা হবে।’
কর্মপরিল্পনায় কী থাকছে—জানতে চাইলে ইসি সচিব তা খোলসা করে জানাতে চাননি। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কর্ম-পরিকল্পনার মধ্যে অনেক কিছুই রয়েছে। পার্টিকুলারলি কিছু না হয়নি।’
রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপের বিষয়টি কর্কমপরিকল্পনায় থাকবে কিনা—এই প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, ‘কী থাকবে, আর কী থাকবে না, তা কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে। তবে সচিবালয়ের পক্ষ থেকে আমরা যে প্রস্তাবনা তৈরি করেছি, তাতে সংলাপের বিষয়টি থাকবে। আর কেবল রাজনৈতিক দল নয় স্টেক হোল্ডার, গণমাধ্যমসহ সবার অভিমতই নেওয়া দরকার বলে আমি মনে করি। কারণ ভালো কাজ করলে তা জানানোর দরকার আছে। এ জন্য সবার অভিমতই নেওয়ার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি।’
কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নতুন নির্বাচন কমিশন গত ১৫ ফেব্র“য়ারি দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এ কমিশনের অধীনেই আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাট্রিবিউন