খােলা বাজার২৪।। মঙ্গলবার, ৭ মার্চ ২০১৭: প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পুরণে ঠাকুরগাঁওয়ে পোল্ট্রি শিল্পে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে টার্কি নামে এক তৃণভোজী পাখি। এই পাখির খামার গড়ে ওঠায় অনেকের কাজের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। টার্কির মাংস সু-স্বাদু ও পুষ্টিকর হওয়ায় এর চাহিদাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সুত্রে জানা গেছে মিন্টু, স্ব-রাজ, ফারুকসহ কয়েকজন শিক্ষিত বেকার যুবক শহরের ঘোষপাড়া ও সদর উপজেলার সালন্দর তেলিপাড়া গ্রামে বাণিজ্যিকভাবে টার্কি নামে পাখি পালন করছে। ভারত থেকে আনা এ দুটি খামারে এখন ছোট-বড় ৩শ টার্কি রয়েছে। এই পাখি সবুজ শাক-সবজি ও লতা পাতা খেয়ে জীবন ধারণ করছে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বেশি এই পাখির। ব্রয়লার মুরগীর মাংসর চেয়ে এই পাখির মাংস সু-স্বাদু। জানা গেছে,টার্কির উৎপত্তি স্থল উত্তর আমেরিকায় হলেও ইউরোপসহ পৃথিবীর প্রায় সব দেশে এ পাখি পালন করা হচ্ছে। বিভিন্ন দেশের খাদ্যতালিকায় অন্যতম পুষ্টিকর উপাদান এ পাখির মাংস। ডিম থেকে বাচ্চা ফুটে ওঠার ছয় মাসের মধ্যে টার্কি ডিম দেয়। ছয় মাসের টার্কির ওজন হয় পাঁচ থেকে ছয় কেজি। আর পুরুষ টার্কি হয় প্রায় আট-নয় কেজি। আমেরিকায় অভিজাত শ্রেনীর খাদ্য তালিকায় বিশেষ স্থান করে নিয়েছে টার্কির মাংস। এ দেশে মুরগির মাংসের মতো করেই টার্কি রান্না করার পাশাপাশি রোস্ট ও কাবাবও তৈরি হচ্ছে। বাণিজ্যিক ভাবে এখন টার্কি খামার গড়ে উঠছে ঠাকুরগাঁও সহ দেশের বিভিন্ন জেলায়। টার্কির পালনকারী মিন্টু ও ফারুক বলেন সহজ শর্তে ঋণ ও সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা পেলে তারা এ তৃণভোজী পাখির খামার বড় আকারে গড়ে তোলবেন। তারা আরো জানায়,এ পাখির চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ দিতে পারছেন না। জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন,পাখিজাতীয় মাংস উৎসের মধ্যে মুরগি, হাঁস, তিতির, কোয়েলেরপর টার্কি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে। টার্কির মাংস অন্যান্য পাখির মাংস থেকে কম চর্বিযুক্ত, তাই অন্যান্য পাখির চেয়ে টার্কির মাংস অধিক পুষ্টিকর। ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল বলেন,তিনি চীনে থাকা কালীন টার্কির মাংস খেয়েছিলেন। এ পাখির মাংস সু-স্বাদু ও পুষ্টিকর বলে জানান তিনি।