খােলা বাজার২৪।। মঙ্গলবার, ৭ মার্চ ২০১৭: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, ফুলবাড়ীর মানুষ বাহ্যিকভাবে খনির বিরোধিতা করলেও আন্তরিকভাবে তারাও ফুলবাড়ী কয়লা খনির বাস্তবায়ন চায়।
মঙ্গলবার দুপুরে পার্বতীপুরে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে খনির সিএসআর (সামাজিক দায়বদ্ধতা) তহবিল হতে মাসিক রেশনের চাল ও উৎপাদন বোনাস বাবদ ৫৩ লাখ ৫৮ হাজার ২৮৮ টাকার চেক বিতরনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি ও মধ্যপাড়া পাথর খনির পাশাপাশি নবাবগঞ্জের দিঘিপাড়া ও ফুলবাড়ী কয়লা খনি বাস্তবায়নের উপর গুরুত্বারোপ করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী বলেন, এসব খনি বাস্তবায়িত হলে এ অঞ্চলের মানুষের জীবনমান উন্নয়ন আরও বৃদ্ধি পাবে। তিনি আরও বলেন, খনি শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষায় এর আগেও বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে এবং ভবিষ্যতের গ্রহণ করা হবে।
খনির আবাসিক এলাকার টেনিস গ্রাউন্ডে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী হাবিব উদ্দিন আহাম্মদ, কোল মাইন অফিসার্স অয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কোম্পানী সচিব আবুল কাশেম প্রধানিয়া, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি রবিউল ইসলাম রবি প্রমুখ।
উপস্থিত ছিলেন-পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তরফদার মাহমুদুর রহমান, পার্বতীপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সম্পাদক সৈয়দুল আলম শান্তু প্রমুখ। এতে সভাপতিত্ব করেন বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের উপদেষ্টা ও পার্বতীপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি হাফিজুল ইসলাম প্রামানিক।
অনুষ্ঠান শেষে মন্ত্রী শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি রবিউল ইসলাম রবি, সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান সহ চার শ্রমিক নেতার হাতে যথাক্রমে ২৯ লাখ ৯৩ হাজার ৩৭০ টাকা, ২২ লাখ ৯৫ হাজার ৪৮ টাকা, ৪৮ হাজার ৯৩০ টাকা এবং ২০ হাজার ৯৪০ টাকার ৪ টি চেক প্রদান করেন। খনিতে কর্মরত প্রায় ৮৫০ জন শ্রমিককে প্রথমবারের মত গত বছরের জুলাই থেকে চলতি বছরের জানুয়ারী পর্যন্ত ৭ মাসের বকেয়া হিসেবে এই অর্থ দেওয়া হয়।