খােলা বাজার২৪।। বুধবার, ৮ মার্চ ২০১৭: কুরবান আলী, দিনাজপুর : দিনাজপুরে কোটি টাকা মূল্যে সরকারী জায়গা অবৈধ দখলে চলে গেছে।
দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী অতি প্রাচীন হাট ও নানা রকম ইতিহাস বহনকারী এলাকা হিসাবে পরিচিত দাউদপুর বাজার। এক সময়ে অত্র এলাকার মানুষের একমাত্র ভরসা ছিল দাউদপুর বাজার। ঐতিহ্যবাহী এই হাট বর্তমানে অবৈধ দখল দারের করাল গ্রাসের শিকার হয়ে সব ঐতিহ্য হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। হাট বাজার ইজারার মাধ্যমে প্রতিবছর সরকার লাখ লাখ টাকা আয় করলেও সরকারের দায়িত্ব প্রাপ্ত সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীর দায়িত্বে অবহেলা ও অসৎ মনোভাবের কারনে অবাধে প্রকাশ্য ও রাতের অন্ধকারে বাজারের কোটি টাকা মূল্যের সরকারী জায়গা অবৈধ ভাবে দখল হয়ে বর্তমানে এমন পর্যায়ে এসেছে যে, হাট বাজার এলাকায় প্রসাব করার জায়গাটুকু পর্যন্ত অবৈধ দখল দারেরা দখল নিয়ে পাকা দালান, গোডাউন, পাকা দোকানঘর নির্মান করে নিশ্চিন্তে বসে আছে।
হাটের এক তৃতীয়াংশ সরকারী জায়গা স্থানীয় প্রভাবশালীদের অবৈধ দখলে। হাটে পানি নিষ্কাশনের জন্য অপর্যাপ্ত ড্রেন থাকলেও সংস্কারের অভাবে ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভেস্তে গেছে। সামান্য বৃষ্টিতেই আধা হাঁটু কাদা জলের মধ্যে গাদা গাদি করে প্রয়োজনীয় বাজার করতে হয় সকল পেশা শ্রেণীর হাটুরেদের। অথচ হাট বাজার উন্নয়নের বরাদ্দকৃত সরকারী অর্থ কোথায় যায় কে জানে। দাউদপুর হাটের মোট সরকারী জায়গা প্রায় ৭ দশমিক ৮৪একর। তার মধ্যে তহ-বাজার-৩ দশমিক ১৬একর, হাট চান্দিনা ১ দশমিক ৬২একর, গো-হাটি ২২শতক।
নবাবগঞ্জ উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান জানান, হাটের বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন সরকারী গণ-শৌচাগার রাতের অন্ধকারে জনৈক আব্দুস সামাদ ভেঙ্গে সেখানে পাকা গোডাউন ও দোকানঘর নির্মান করে অবৈধভাবে দখল নিয়েছেন।
হাটের দক্ষিণ পার্শ্বের ধান হাটি সংলগ্ন সরকারী প্রায় ৩/৪ একর জায়গা অবৈধ দখলে রেখেছে একই পরিবারের ৩-৪জন প্রভাবশালী ব্যক্তি। এর জন্য অবৈধ দথলদাররা ভূমি অফিসের কর্মকর্তাকে প্রতিমাস মোটা অঙ্কের সেলামী প্রদান করেন জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন অবৈধ দখলদার।
দাউদপুর পোস্ট অফিসের মোট সরকারী জায়গা .৭ শতাংশ। সীমানা প্রাচীর নির্মান হচ্ছে সাড়ে চার পাঁচ শতকের উপর, বাঁকী সরকারী জায়গা অবৈধ দখলে রেখেছেন জনৈক আব্দুস সালাম নামের একজন ব্যক্তি।
সম্প্রতি স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ জিল্লুর রহমান (বাবুল) দিনাজপুর-৬ আসনের এমপি শিবলী সাদিক বরাবরে অভিযোগ প্রেরণ করলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বিষয়টি দেখে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করেন।
পোস্ট অফিসের জায়গা অবৈধ দখলদার আব্দুস সালাম হুংকার দিয়ে বলেন, আমার জায়গায় কোন আমিন বা অন্য কেউ শিকল ফেলতে আসলে তার লাশ পড়বে।
এব্যাপারে নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ বজলুর রশীদের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।