খােলা বাজার২৪।। বুধবার, ৮ মার্চ ২০১৭: গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার আজ ময়লা ফেলার ডাস্টবিনে পরিনত হয়েছে। কালীগঞ্জের প্রায় দুই লাখ চল্লিশ হাজার সংগ্রামী জনগণের জন্য নির্মিত কালীগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এখন নোংরা ডাস্টবিন ও মাদক সেবনের আখড়ায় পরিনত হয়েছে। বাংলাদেশর বিভিন্ন রাষ্ট্রিয় দিবস এলে শুধুমাত্র লোক দেখানো একদিনের জন্য শহীদ মিনারটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়। দিবস গেলেই সেই পুরনো রূপেই দেখা যায় শহীদ মিনারটিকে। গত ২০ বছর পূর্বে প্রায় ৮ লাখ টাকা চুক্তিমূল্যে শহীদ মিনারটি কালীগঞ্জ আর আর এন পাইলট সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে স্থাপন করা হয়। শহীদ মিনারে ময়লা আবর্জনা ফেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদদেরকে অবমাননা করা হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এ বিষয়ে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলেও কালীগঞ্জ পৌর মেয়র ও উপজেলার উর্দ্বতন কর্মকর্তাদের টনক নড়েনি।
এ বিষয়ে পৌর মেয়র মোঃ লুৎফুর রহমানের কাছে শহীদ মিনার অবমাননার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের দায়িত্ব পৌরসভার নয়। এ শহীদ মিনারটি কালীগঞ্জ আর আর এন পাইলট সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের। তাই দায়িত্বও তাদের।
পরে এ বিষয়ে কালীগঞ্জ আর আর এন পাইলট সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লুবনা ইয়াছমিনের সাথে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি প্রাতিষ্ঠানিক কাজে ব্যস্ততা দেখিয়ে ফোনের লাইন কেটে দেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যালয়ের একজন সহকারী শিক্ষক শহীদ মিনার প্রসঙ্গে মেয়রের বক্তব্যের জবাবে বলেন, শহীদ মিনারটি পৌরসভার অধীনে। যদিও শহীদ মিনারটি কালীগঞ্জ আরআরএন পাইলট সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে নির্মিত হয়েছে। কিন্তু এটি রাষ্ট্রীয় সম্পদ। এটি দেখভাল করার দায়িত্ব স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পৌরসভার। পৌর মেয়র শহীদ মিনারের দায়িত্বের কথা অস্বীকার করে এক বিশাল ভুল করেছেন। পৌরসভা ২০১৩ সাল থেকে উন্নয়নের জন্য দুই কোটি টাকা ব্যয় দেখানো হয়েছে। কিন্তু গত তিন বছরে শহীদ মিনারের পিছনে একটি টাকাও ব্যয় হয়নি।
পরে শহীদ মিনার পরিষ্কার ও শহীদদের অবমাননা প্রসঙ্গে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক, এমপি’র সাথে কালীগঞ্জ প্রতিনিধি ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, শহীদদের অবমাননার বিষয়ে সত্যতা পাওয়া গেলে দায়িত্বপ্রাপ্তদের ব্যাপারে যথাযথ আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।