খােলা বাজার২৪।। বুধবার, ৮ মার্চ ২০১৭: আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপনে সারা দেশের নারী সংগঠনগুলো যখন সভা-সেমিনার নিয়ে ব্যস্ত ঠিক সে মুহুর্তে ঠাকুরগাঁওয়ে স্ত্রীর মর্যাদা পেতে স্বামীর বাড়িতে এক কলেজ ছাত্রীর অবস্থান করার খবর পাওয়া গেছে।
জানা যায়, ঠাকুরগাঁও পৌর এলাকার মুন্সির হাটের সাইদুর রহমানের ঠাকুরগাঁও সরকারী কলেজে অনার্স পড়ুয়া মেয়ে রাজনী(১৯)’র সাথে একই এলাকার মহির উদ্দিনের ছেলে উজ্জলের সাথে তিন বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।বিভিন্ন সময় উজ্জল বাড়ির পাশের বাগানে রাজনীকে দেখা করতে চাপ দিত।গত ২৬শে ডিসেম্বর তারা দেখা করার জন্য মিলিত হলে স্থানীয় লোকজন তাদের আটক করে ওয়াড কাউন্সিলরের মাধ্যমে বিয়ে দিয়ে দেয়।
সরেজমিনে গেলে রাজনী অভিযোগ করেন, বিয়ের পর থেকে তার স্বামী এড়িয়ে চলতে থাকে।পারিবারিক ভাবে সমঝোতার চেষ্টা করলে উজ্জলের পরিবার হতে দুই লক্ষ টাকা যৌতুক দাবী করে।কিন্তু রাজনীর বাবা সাইদুর একবারে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আস্তে আস্তে দিতে চায়।কিন্তু উজ্জলের পরিবার এতে রাজী হয়নি।
এদিকে রাজনীর সাথে উজ্জল তাদের বাড়িতে প্রায় এক মাস অবস্থান করে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে ঘর-সংসার করাকালে মায়ের অসুখের কথা বলে বাড়ি ফিরে আসে উজ্জল।
এর পর নানা বাহানায় দেখা না করলে রাজনী স্বামীর বাড়িতে আসলে শ্বশুড় মহির ও শ্বাশুড়ি রেহেনা বেগম তাকে মারধর করে বের করে দেয়।
রাজনী জানায়,এর মধ্যে সে অন্তঃসত্বা হয়ে পড়লে কোন উপায় না পেয়ে বুধবার সকাল নটা থেকে স্বামীর বাড়িতে অবস্থান নেয়।অবস্থানের খবর পেয়ে উজ্জল বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।রাজনী আরও অভিযোগ করেন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তাকে কেউ এক গ্লাস পানিও খেতে দেয়নি।উল্টো তাকে ধাক্কাধাক্কি করে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করেছে সবাই।
রাজনী বলেন,তাকে মেনে না নিলে তার আত্নহত্যা ছাড়া কোন উপায় নেই।
এদিকে উজ্জলের মা মারধরের ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, আমার ছেলেই এখন বাড়িতে নেই ওকে খাওয়াবে কে।
সুশিল সমাজ মনে করেন নারী দিবসে নারীর প্রতি এমন আচরণ কোনভাবেই কাম্য নয়।