খােলা বাজার২৪।। বৃহস্পতিবার, ৯ মার্চ ২০১৭: ছাত্রকে বেত্রাঘাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার সদর উপজেলার দিঘাপতিয়া পিএন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলিম উদ্দিনের মুক্তির দাবীতে সমাবেশ করেছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ। এসময় তারা জেলা প্রশাসক বরাবর একটি স্মারকলিপিও প্রদান করেন। সমাবেশে ঘোষণা করা হয়, প্রধান শিক্ষককে মুক্তি না দেয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন অব্যাহত রাখবে। বৃহস্পতিবার দুপুরে নাটোর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। গত ৬ মার্চ দুপুরে সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র কাউছারকে বেত্রাঘাতের ঘটনায় পরের দিন সদর থানায় দায়ের করা মামলায় প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ। সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বিদ্যালয়ের শিক্ষক সাইফুল ইসলাম আনোয়ার ও কামাল হোসেন এবং বিভিন্ন শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা। এসময় দাবী করা হয়, প্রধান শিক্ষক নির্দোষ হওয়া স্বত্বেও কিছু স্বার্থান্বেষী মহল তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করতে বাদীকে প্রলুব্ধ করেছেন। তারা অনতিবিলম্বে এই মিথ্যা মামলা থেকে প্রধান শিক্ষককে মুক্তির দাবী করেন। অন্যথায় শনিবার থেকে বিদ্যালয়ের ক্লাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বর্জন করা হবে বলে ঘোষণা দেয়া হয়। এসময় অন্যান্যের মধ্যে বনলতা বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহমান, মহারাজা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মজিদ এবং নববিধান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিমান গোবিন্দ সরকার শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের আন্দোলনের সাথে একাত্ততা ঘোষণা করেন। তারা দাবী করেন, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রধান শিক্ষককে দ্রুত মুক্তি দেয়া হোক। গত ৬ মার্চ সোমবার দিঘাপতিয়া পিএন উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর খ শাখার ছাত্র কাউছারের সাথে তার সহপাঠী নাহিদ হাসান ও মেহেদী হাসানের কথা কাটাকাটির জের ধরে কাউছারকে বেত্রাঘাত করে আহত করে প্রধান শিক্ষক আলিম উদ্দিন। এ ঘটনায় পরের দিন সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন কাউছারের বাবা, দিঘাপতিয়া ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মানিক। এই মামলা সূত্র ধরে পুলিশ প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতার করে।