
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আজ রবিবার দুপুরে বাংলাদেশ ফটোর্জালিস্ট এসাসিয়েশন মিলনায়তনে জাতীয় নেতা মশিউর রহমান যাদু মিয়ার ৩৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ আয়োজিত ”বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট : যাদু মিয়া “-শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখছিলেন।
বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি’র সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহন করেন কল্যাণ পার্টি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক, এনডিপি চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবিকর খোকন, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান এডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, এলডিপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, ন্যাপ প্রেসিডিয়াম সদস্য আলহাজ্ব গোলাম সারওয়ার খান, এনডিপি প্রেসিডিয়াম সদস্য মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা, কল্যাণ পার্টি ভাইস চেয়ারম্যান সাহিদুর রহমান তামান্না, ন্যাপ ভাইস চেয়ারম্যান কাজী ফারুক হোসেন, সম্পাদক মোঃ কামাল ভুইয়া প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন ন্যাপ নগন সদস্য সচিব মোঃ শহীদুননবী ডাবলু।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ভারতের সাথে সরকারের মান অভিমান চলছে, কিন্তু সম্পর্ক আছে।শেখ হাসিনার বিদেশে প্রভু আছে, বন্ধু নয়। কিন্তু জিয়াউর রহমানে বন্ধু ছিল প্রভু নয়।
বিএনপি স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। সেজন্য বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের দেশের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চাই। কিন্তু ভারত বাংলাদেশের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করলে জনগণ মানবেনা। সুতরাং বাংলাদেশকে বিক্রি করে কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন না।
গয়েশ্বর বলেন, আপনাকে বিশ্বাস করা যায় না। কারণ আপনি নির্বাচিত নন। তাই জনগণের ভোট জনগণকে দেয়ার অধিকার দিন। নির্বাচন নিয়ে ছিনিমিনি খেলবেন না।
এরশাদের জোট প্রসঙ্গে গয়েশ্বর বলেন, জোট নিয়ে নাটক চলছে। যাদের ওপর জনগণের আস্থা নেই তাদের আবার জোট কিসের?
মরুহুম যাদু মিয়ার স্মরণে তিনি বলেন, যাদু মিয়া ছিলেন রাজনীতির অগ্নিপুরুষ। তিনি খুবই কর্মীবান্ধব ও হাস্যরসের ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তিনি মওলানা ভাসানীর খুবই ঘনিষ্ঠজন ছিলেন। যিনি গণতন্ত্রের গাছ রোপন করেছিলেন। সেই গাছকে লালন করতে হবে। ফলে বিএনপি জনগণের দাবি আদায় করতে সক্ষমতা অর্জন করবে।
সভাপতির বক্তব্যে জেবেল রহমান গানি বলেছেন, দেশ আজ কঠিন সঙ্কটকাল অতিক্রম করছে। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র আজ আধিপত্যবাদী-সাম্রাজ্যবাদী শক্তির নিকট কারারুদ্ধ। এই অবস্থায় জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার কোন বিকল্প নাই। আর সেই ঐক্যের প্রতীক হচ্ছেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, যাদু মিয়া কখনো তার রাজনীতির সাথে বিশ্বাষ ঘাতকতা করেন নাই। মওলানা ভাসানীকে তার জীবদ্দশায় অনেখে ছেড়ে গলেও যাদু মিয়া আমৃত্যু মওলানা ভাসানীর সাথে অবস্থান করেছেন। তিনি শহীদ জিয়ার পাশে থেকে জনগনের গণতন্ত্র জনগনের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছেন।
এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, রাজনীতিতে একটি অংশ যাদু মিয়াকে একেবারে খারিজ করতে পারলে বেঁচে যান মনে হয়। আর অন্য অংশটি খুব বেশী স্মরণের প্রয়োজনও বোধ করে না। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় যে দলটিকে প্রতিষ্ঠিত করেছে, নিজের দলের প্রতীক তুলে দিয়েছেন তাদের হয়তো মনেই নেই মশিউর রহমান যাদু মিয়া নামে কেউ ছিলেন তাদের জন্মের বেদনার সাথে।
তিনি বলেন, জীবন ও প্রাপ্তির পূর্ণতার মধ্যে দ্বন্ধ থাকে চিরকালই। তবে প্রত্যেকের ক্ষেত্রে তা একই ভাবে দেখা যায় না। কারও কারও জীবনে প্রাপ্তি ও পূর্ণতার একসাথে সমন্বয় হয়ে উজ্জ্বল নক্ষত্র হিসাবে দেখা দেয়। যার জীবনে সেটা দেখা দেয় সাধারণ মানুষ সে জীবনকে ভালবাসে, শ্রদ্ধা করে এবং স্মরণ করে। আমাদের কালে এমনই একজন মানুষ হচ্ছেন জাতীয় নেতা মশিউর রহমান যাদু মিয়া।