খােলা বাজার২৪।। সোমবার, ১৩ মার্চ ২০১৭: আদালতের নির্ধারিত সময় ছয় মাসের মধ্যেই হাতিরঝিল ছেড়ে যাবে বিজিএমইএ। বর্তমান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন সংগঠনের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘কিভাবে ভাঙবো বা কি করবো বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত হবে।’ এর আগে রাজধানীর হাতিরঝিল থেকে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) অবৈধ ভবনটি সরাতে ছয় মাসের সময় বেঁধে দেন আদালত।
আদালতের আদেশের পর গতকাল এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হবে বলে জানিয়েছিলেন বিজিএমইএ সভাপতি। সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিজিএমইএ সভাপতি আরী বলেন, ‘শ্রমিকদের সঙ্গে রায়ের সম্পর্ক নেই। তবে বিদেশি ক্রেতাদের কাছে ইমেজ সঙ্কট দেখা দিতে পারে। নিজেদের ভবনে গেলেই তা ফিরতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গতকাল পর্যন্ত ধারণা ছিল, আজকেই চলে যেতে হবে। কিন্তু আদালত ছয় মাস সময় দিয়েছেন। এজন্য ধন্যবাদ।’
অপর এক প্রশ্নে সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘আপাতত উত্তরায় যাবো, তবে যেখানেই যাই নিজস্ব ভবন না থাকলে বিদেশে ব্যবসার ইমেজ থাকে না।’ এসময় তিনি বলেন, ‘৪২ লাখ শ্রমিকের এ খাত এখন জাতীয় সম্পদ।’ এসময় তার সঙ্গে সংগঠনটির পরিচালনা বোর্ডের কোনো সদস্য উপস্থিত ছিলেন না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি কাউকে জানায়নি, তাই কেউ নেই। কয়েকজন সাংবাদিক প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়েছেন, সে জন্য এক এক করে না বলে একসঙ্গে সবাইকে বলার সিদ্ধান্ত নিই।’ এর আগে ৫ মার্চ প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ বিজিএমইএ ভবন ভাঙার রায়ের ওপর করা রিভিউ আবেদন খারিজ করে দেন। সেই সঙ্গে আদালত ভবন ভাঙার জন্য সময় চেয়ে আবেদন করতে বলেন। এর প্রেক্ষিতে বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ তিন বছর সময় চেয়ে আবেদন করে।
গত বৃহস্পতিবার আবেদনটি গ্রহণ করে শুনানির জন্য গতকাল দিন ধার্য করেন আদালত। গত বছরের ৮ নভেম্বর বিজিএমইএ ভবন ভাঙার বিষয়ে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়। এর আগে হাইকোর্ট ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল ভূমির মালিকানা স্বত্ব না থাকা এবং ইমারত নির্মাণ বিধিমালা ও জলাধার আইন ভঙ্গ করায় বিজিএমইএ ভবন নির্মাণ অবৈধ ঘোষণা করেন।
হাইকোর্টের রায়ে ওই ভবনটিকে ‘হাতিরঝিল প্রকল্পে একটি ক্যানসারের মতো’ উল্লেখ করে রায় প্রকাশের ৯০ দিনের মধ্যে ভেঙে ফেলতে নির্দেশ দেয়া হয়। এর র বিজিএমইএ তাদের ভবন রক্ষা করতে সব আইনি প্রক্রিয়া চালায়। আদালত নির্দেশে বলেন, বেগুনবাড়ি খাল ও হাতিরঝিল জলাভূমিতে অবস্থিত বিজিএমইএ কমপ্লেক্স নামের ভবনটি নিজ খরচে অবিলম্বে ভাঙতে হবে। এতে ব্যর্থ হলে রায়ের কপি হাতে পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে রাজউককে ভবনটি ভেঙে ফেলতে নির্দেশ দেয়া হলো।