Wed. Apr 30th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

18kখােলা বাজার২৪।। সোমবার, ১৩ মার্চ ২০১৭: ডলার ভাঙ্গানোর কথা বলে ৮৫ হাজার টাকা নিয়ে উধাও হওয়ার ২০ দিন পর রোববার রাতে প্রতারক চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পালং মডেল থানা পুলিশ। এ ঘটনায় পালং মডেল থানায় মামলা হয়েছে। প্রতারক চক্রের বাকি সদস্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

পালং মডেল থানা সূত্র ও সদর উপজেলার আটিপাড়া গ্রামের মোঃ উজ্জল খান জানান,গত ১৯ ফেব্রুয়ারী একটি প্রতারক চক্র আটিপাড়া গ্রামের আনোয়ার হোসেন সরদারের কাছে আমেরিকান ডলার বিক্রির কথা বলে সদর উপজেলা পরিষদের গেটের সামনে থেকে নগদ ৮৫ হাজার টাকা নেয় । বিনিময়ে প্রতারক চক্র একটি ব্যাগে ভর্তি ডলারের নাম করে ভাজ করা ( নিউজ পেপার) পত্রিকার কাগজ দিয়ে যায়। এ সময় প্রতারক সে তার মোবাইল নম্বর টি দিয়ে যায়। পরে বাড়ি নিয়ে ব্যাগ খুলে দেখতে পায় কতগুলো ভাজ করা পত্রিকার কাগজ। এরপর শুরু হয় তাকে খোজা খুজি। কোথাও তাকে খুজে পাচ্ছেনা। তার দেয়া মোবাইল নম্বরটা ও সে রিসিভ করছেনা। উপায়ান্ত না পেয়ে আনোয়ার সরদার গত ২২ ফেব্রুয়ারী পালং মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

মামলার সূত্র ধরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এ এস আই মোঃ শাহজুল মোবাইল ফোন প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রতারক চক্রকে চিহ্নিত করে। এরপর রোববার রাতে একদল পুলিশ নিয়ে সে সুকৌশলে মাদারীপুর পুলিশের সহায়তায় মাদারীপুর বাসষ্ট্যান্ড এলাকা থেকে ১ নারী সহ তিন প্রতারককে গ্রেফতার করে। পরে তাদের দেয়া তথ্য মতে গোপালগঞ্জের জলিলপাড় এলাকা থেকে আরো ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে গোপালগঞ্জ জেলার মোকসেদপুর উপজেলার জলিল পাড় গ্রামের মোহামম্মদ আলী চোকদারের ছেলে মোঃ রাজা চোকদার ,তার স্ত্রী নাছিমা বেগম,মাদারীপুর সদর উপজেলার দিয়াপাড়া গ্রামের বাদশা মাদবরের ছেলে মোঃ মাসুম মাদবর,গোপালগঞ্জের জলিলপাড় এলাকার তাছলিমা বেগম ও লাবলু । গ্রেফতারকৃত রাজা চোকদার মোকসেদপুর থানার ডাকাতি মামলার পলাতক আসামী বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রতারক চক্র প্রতারনার কথা স্বীকার করে গুরুত্ব পূর্ণ তথ্য দিয়েছে। প্রতারক চক্রের বাকি সদস্যদের গ্রেফতারের জন্য চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় পালং মডেল থানায় মামলা হয়েছে।

প্রতারনার শিকার মোঃ আনোয়ার হোসেন সরদার বলেন, আমেরিকান ডলার বিক্রির নামে প্রতারনা করে আমার থেকে ৮৫ হাজার টাকা নিয়ে গেছে। বাড়ি গিয়ে আমি ডলারের ব্যাগ খুলে দেখি ভাজ করা পত্রিকার কাগজ। কোন ডলার নেই। এরপর পালং থানায় অভিযোগ দায়ের করি।

পালং থানার এ এস আই শাহজুল বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর মামলার সূত্র ধরে তদন্ত কাজ শুরু করি। এরপর মোবাইল প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রতারক চক্রকে চিহ্নিত করে মাদারীপুর বাসষ্ট্যান্ড এলাকা থেকে ৩ জনকে গ্রেফতার করি। পরে তাদের দেয়া তথ্য মতে গোপালগঞ্জের জলিলপাড় এলাকা থেকে আরো ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এরা প্রাথমিক ভাবে পুলিশের কাছে প্রতারনার কথা শিকার করেছে । প্রতারক চক্রের বাকি সদস্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।