Thu. May 1st, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

16খােলা বাজার২৪।। মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ ২০১৭: অবশেষে দীর্ঘ আইনী লড়াইয়ের পর ব্রেক্সিট বিল পাস করেছে ব্রিটেন পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ হাউস অব লর্ডস। এটি পাসের পর ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ছাড়তে যুক্তরাজ্যের আর কোনও বাধা রইলো না।
রয়্যাল এসেন্ট বা রানির সম্মতি পেলে এই বিলটি মঙ্গলবারই আইনে পরিণত হতে পারে। তবে যুক্তরাজ্যে বসবাসরত ইইউ নাগরিকদের অধিকার নিশ্চিত করার বিষয়টি নিয়ে সরকারের ওপর চাপ রয়েছে।

ব্রিটিশ সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ইইউ নাগরিক যারা যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন তাদের অধিকার নিশ্চিত করার ব্যাপারে সরকার আন্তরিক।
এদিকে স্কটিশ ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টারজিওন নিশ্চিত করেছেন, যুক্তরাজ্য থেকে স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতার জন্য দ্বিতীয় গণভোটের অনুমতি চাইবেন। যুক্তরাজ্যের ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগের সিদ্ধান্তে স্কটিশ জনগণের স্বার্থরক্ষায় এই গণভোট আয়োজন করা প্রয়োজন।
২০১৮ সালের শরৎ ও বসন্তের মাঝামাঝি সময়ে এই গণভোট আয়োজন করতে চান তিনি। তিনি বলেন, পার্লামেন্টে গণভোট সংশ্লিষ্ট সেকশন ৩০ অর্ডার জারি করার অনুমতি চাইবেন তিনি। স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতার জন্য নতুন গণভোট আয়োজনের আইনগত ভিত্তির জন্য নির্দেশটি জারি করা প্রয়োজন।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে এতদিন পর্যন্ত এই প্রসঙ্গ এড়িয়ে যাচ্ছিলেন যে স্কটল্যান্ডের গণভোট আয়োজনের অনুমতি দেয়া হবে কী না। স্টারজিওনের ঘোষণার প্রেক্ষিতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্র বলেন, এটা পরিষ্কার যে স্কটল্যান্ডের মানুষ দ্বিতীয় গণভোট চায় না। দুই বছরেরও কম সময় আগে স্কটল্যান্ডের মানুষ যুক্তরাজ্যের অংশ হিসেবে থাকার পক্ষে ভোট দিয়েছে যে ভোটকে এক প্রজন্মে একবার ভোট বলে অভিহিত করেছিল স্কটিশ সরকার।
তিনি যোগ করেন, আরেকটি গণভোট আয়োজন করলে বিভেদ সৃষ্টি হবে এবং সবচেয়ে সংকটময় সময়ে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা তৈরি করবে। কিন্তু স্টারজিওন এডিনবার্গে বুট হাউসে দেয়া বক্তব্যে বলেন, স্কটল্যান্ডের মানুষকে হার্ড ব্রেক্সিট কিংবা স্বাধীনতা যেকোনো একটি বেছে নেয়ার সুযোগ দিতে হবে। স্কটিশ সরকারের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্য একক ইউরোপীয় বাজার ত্যাগ করলেও স্কটল্যান্ড এর সদস্য থাকবে। থেরেসা মে বলেছেন, স্কটল্যান্ড এই সুযোগ পাবে।
যুক্তরাজ্যের হাউস অব কমন্সে সোমবার যখন আর্টিকেল ৫০ অনুসরণবিষয়ক ব্রেক্সিট বিল নিয়ে এমপিরা বিতর্কে অংশগ্রহণ করবেন তখনই স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতার জন্য দ্বিতীয় গণভোটের দাবি তুলেছেন স্টার্জিওন।