খােলা বাজার২৪।। বুধবার, ১৫মার্চ ২০১৭: নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলায় তিস্তা নদীর গর্ভ থেকে জেগে ওঠা চরাঞ্চলে চলতি মৌসুমে অন্যান্য কৃষি ফসলের মধ্যে মিস্টিকুমড়ার চাষ করে তিস্তা পারে কৃষক-কৃষানিরীর মুখে উজ্জ্বল হাসির ঝিলিক দেখা গেছে।
গত বছরের তুলনায় তিস্তা ধু-ধু বালু চরে বেশি ভাগেই দেখা মিলে কুমড়ার ক্ষেত আর ক্ষেত। ডিমলা উপজেলা তিস্তা নদীর বালু চরে কুমড়ার হলুদ ফুলে নান্দনিক শোভায় মুগ্ধ কৃষক-কৃষানি, তা দেখে থমকে দাঁড়ায় মেঠো পথ দিয়ে চলা হাজারো পথিকরা। এবারে বালু চরে বাম্পার কুমড়ার ফলন পেয়ে কৃষকের মুখে হাসি ফোটার দৃশ্যের দেখা মিয়ে তিস্তার চরে।
সরেজমিনে উপজেলা তিস্তার চর এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, যে বালুর চরে কোনদিন ভালোমত কোন ফসল ফলানো সম্ভব হয়নি সেই খসখসে তপ্ত বালু চরে কুমড়ার চাষে হলুদ আর সবুজে ছেয়ে গেছে।
চরের মাঝে লতাপাতা যুক্ত কুমড়া গাছে ডালে ডালে হলুদ আর বড় বড় মিস্টি কুমড়া যা বর্তমানে সকলের নজর কেরেছে। এসব চরে কৃষক-কৃষানি কোন দিন ভাবতে পারেনি ধু-ধু বালু চরে ফসল ফলানো সম্ভব হবে। তবে এবারের মৌসমে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন বিভাগের পরামর্শে কৃষকদের ঐকান্তিক প্রচেষ্ঠায় চলতি মৌসমে ডিমলা উপজেলায় কুমড়ায়র বাম্পার ফলন হয়েছে।
বর্তমান ডিমলা উপজেলার উৎপাদিত কুমড়া নিজ এলাকার চাহিদা পূরণ করে ঢাকা সহ বিভিন্ন জেলায় রপ্তানি হচ্ছে। টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের বাঘের চর এলাকার কৃষক আব্দুল মালেক, কৃষানি জহুরা বেগম জানান তাদের তিস্তা নদীর জেগে উঠা চরে সামান্ন খরচে কুমড়ার বীজ রোপন করে তাতে অনেক টাকার কুমড়া বিক্রি করেছে। আরও যে পরিমান কুমড়া রয়েছে তাও বেশ লাভবান হবে বলে জানান।