খােলা বাজার২৪।। বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ ২০১৭: শেরপুর জেলার ৫টি উপজেলায় এবছর শীতকালিন সবজির বাম্পার ফলন হয়েছিল। কিন্তু গত কয়েকদিনের হঠাৎ বৃষ্টির কারণে সবজি ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। যেসমস্ত সবজি বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায় ক্ষতি হয়েছে তন্মধ্যে আলু, ফুলকপি, বাধাঁকপি, শীম, টমেটো, মূলা, গাজর, চাল কোমড়, কড়ল্লা, পুটল কাকরুল জিঙ্গে, কদু বরবটিসহ অন্যান্য সবজি ব্যাপক ভাবে ক্ষতি সাধিত হয়। ফলে সবজির আমদানি কমে যায় ব্যাপক ভাবে। তাই সবজির দাম এখন লাফিয়ে বাড়ছে। প্রতি কেজি সবজির মূল্য এখন ২/৩গুন বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রকাশ থাকে যে, শীত মৌসুমের যে সমস্ত সবজি বাজারে চাহিদা রয়েছে, চাহিদা অনুযায়ী কৃষকেরা সবজি উৎপাদন করে বাজারে ভাল দামে বিক্রি করে তারা অনেক লাভবান হচ্ছিল। কিন্তু বর্তমানে অসময়ের কাল বৈশাখী ঘড়ো হাওয়া ও বৃষ্টির কারণে সবজির ক্ষেতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ফলে সবজির উৎপাদন কমে যাওয়ায় চড়া দামে সবজি বিক্রি করেও কৃষকরা লাভবান হতে পারবে না। উল্লেখ্য, অত্রাঞ্চলের অধিকাংশ কৃষকই নানা জাতের সবজি চাষ করে তাদের সংসারের নানা চাহিদা মেটানোসহ বাড়তি আয় করে থাকে। এবছরের প্রথমদিকে সবজির উৎপাদন ভাল থাকলেও বর্তমানে প্রতিকুল আবহাওয়ার কারণে ক্ষতির মুখে পড়ল সবজি চাষীরা। প্রকাশ থাকে যে, শীত মৌসুমের প্রথম দিকে যে সমস্ত সবজির বাম্পার ফলন হয়েছিল। কিন্তু সেই সমস্ত উৎপাদিত সবজি সংরক্ষনের অভাবে পানির দামে বাজারে বিক্রি করছে কৃষকরা। যদি এসমস্ত উৎপাদিত সবজি হিমাগারে সংরক্ষন করা যেত তাহলে, সংকট কালিন সময়ে হিমাগার থেকে প্রয়োজনীয় সবজি বাজারজাত করে সবজির বাজার নিয়ন্ত্রন করা যেত। কিন্তু সংরক্ষনের অভাবে বর্তমানে একদিকে সবজির শেষ পর্যায়ে অপরদিকে অবশিষ্ঠ সবজির ক্ষেত কাল বৈশাখীর ঝড়ে সমস্ত সবজি নষ্ট করে দিয়েছে। তাই বর্তমানে সবজির সংকট দেখা দেওয়ায় লাফিয়ে বাড়ছে সবজির দাম।
এ ব্যাপারে কৃষি কর্মকর্তা আলহাজ্ব মো. কোরবান আলী জানান, প্রথমদিকে সবজির বাম্পার ফলন পেয়ে কৃষকরা লাভবান হয়েছিল। কিন্তু অধিক উৎপাদিত সবজি হিমাগার না থাকায় সংরক্ষণের অভাবে ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়েছে। যদি উপজেলা পর্যায়ে সরকারী ভাবে একটি করে হিমাগার থাকতো তাহলে হয়ত কৃষকদের উৎপাদিত সবজিগুলি হিমাগারে সংরক্ষণ করা যেত। তাহলে সবিজও নষ্ট হতো না কৃষকরাও উৎপাদিত সবজি সংরক্ষন করে পরবর্তীতে বাজারজাত করে লাভবান হতো। তাই অত্রাঞ্চলের কৃষকদের দাবী তাদের উৎপাদিত সবজি সংরক্ষনের জন্য উপজেলা পর্যায়ে সরকারী ভাবে একটি করে হিমাগার স্থাপন করা অতিব জরুরী দরকার।