খােলা বাজার২৪।। শুক্রবার, ১৭ মার্চ ২০১৭: মহামতি কার্ল মার্কস এর ১৩৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ফতুল্লাতে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভাতে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক কমিটির অন্যতমনেতা জননেতা কমরেড আবু হাসান টিপু বলেছেন, বিশ্বেজুড়ে ‘দুনিয়ার মজদুর এক হও’ শ্লোগানে যিনি শোষিত-বঞ্চিত মেহনতী মানুষকে তাদের ন্যায্য অধিকারের বিষয়ে সচেতন করতে আমৃত্যু সংগ্রাম করেছেন, তিনি হলেন উনবিংশ শতাব্দীর প্রখ্যাত জার্মান চিন্তাবিদ, দার্শনিক, সমাজবিজ্ঞানী ও বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা মহামতী কার্ল মার্কস। তার পুরো নাম কার্ল হাইনরিশ মার্কস। ১৮১৮ সালের ৫মে কার্ল মার্ক্স প্রুশিয়া সম্রাজ্যের নি¤œ রাইন প্রদেশের অন্তর্গত ত্রিয়ের নামক শহরের এক ইহুদি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
আবু হাসান টিপু বলেন, সারাবিশ্বর সর্বহারাশ্রেণীর মহান শিক্ষক ও অকৃতিমবন্ধু আমৃত্যু বিপ্লবী কার্ল মার্কসের স্মরণ অনুষ্ঠানের এক বক্তৃতায় তাঁর অকৃত্তিম বন্ধু কমেরড ফ্রেডারিক এঙ্গেলস বলেছিলেন ‘১৪ই মার্চ বিকেল পৌনে তিনটায় জীবিতদের মাঝে সেরা চিন্তাবিদ তার চিন্তার পরিসমাপ্তি ঘটান। মাত্র দুই মিনিটের জন্য আমরা তাকে রেখে বাইরে গিয়েছিলাম, ফিরে এসে তাকে তার আর্মচেয়ারে বসা অবস্থায় পেলাম, তিনি ততক্ষণে শান্তিতে নিদ্রায় গিয়েছেন- চিরদিনের জন্য’।
তিনি বলেন, মৃত্যুর আগে কার্যত মার্কসের কোনো দেশ ছিল না। প্রায় ১৫ মাসের দুরারোগ্য ব্যাধীতে ভুগে এই মহান শিক্ষাগুরুর লন্ডেন মহাপ্রয়াণ ঘটে। তাঁর মৃত্যু পরবর্তীকালে শোক জানানোর জন্য জড় হয়েছিল মাত্র এগার জন মানুষ। কিন্তু তাঁর মৃত্যুর অনেক পরে বিশেষত রাশিয়াতে শ্রমিকশ্রেণীর বলশেভিক পার্টি ক্ষমতা দখল তথা বিশ্বে নতুন এক সমাজতান্ত্রিক দেশের অভ্যুদ্বয়ের পর নতুন বিশ্ব কার্ল মার্কসকে জাজ্বল্যমান করে তোলে।
আবু হাসান টিপু বলেন, তাঁর ১৩৪ তম এই প্রয়াণ বার্ষিকীতে তাঁরই অমর উক্তি “এতোদিন দার্শনিকেরা কেবল বিশ্বকে বিভিন্নভাবে ব্যাখ্যাই করে গেছেন, কিন্তু আসল কাজ হল তা পরিবর্তন করা।” সারা বিশ্বের শোষিত-বঞ্ছিত মানুষকে আজও শোষন মুক্তির দিশা প্রদান করছে। তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি বিশ্বে যতদিন মানব জাতির অস্তিত্ব থাকবে ততদিন মানব জাতির মুক্তির দিশারী, পথপদর্শক, শ্রমিকশ্রেণীর মহান শিক্ষক কার্ল মার্কসের অবদান শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হবে।
আজ ১৭ মার্চ শুক্রবার সকালে শ্রমিকনেতা কাউসার খানের সভাপতিত্বে মহামতি কার্ল মার্কস এর ১৩৪ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভাতে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি কর্তৃক অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভাতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, শ্রমজীবী নারী মৈত্রীর কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক নারীনেত্রী রাশিদা বেগম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ফতুল্লা থানা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব আলী, মুক্তা বেগম, মাফুজুর রহমান প্রমূখ।মার্কসবাদ আজও শোষিত-বঞ্ছিত মানুষকে মুক্তির দিশা প্রদান করছে: আবু হাসান টিপু
মহামতি কার্ল মার্কস এর ১৩৪ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ফতুল্লাতে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভাতে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক কমিটির অন্যতমনেতা জননেতা কমরেড আবু হাসান টিপু বলেছেন, বিশ্বেজুড়ে ‘দুনিয়ার মজদুর এক হও’ শ্লোগানে যিনি শোষিত-বঞ্চিত মেহনতী মানুষকে তাদের ন্যায্য অধিকারের বিষয়ে সচেতন করতে আমৃত্যু সংগ্রাম করেছেন, তিনি হলেন উনবিংশ শতাব্দীর প্রখ্যাত জার্মান চিন্তাবিদ, দার্শনিক, সমাজবিজ্ঞানী ও বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা মহামতী কার্ল মার্কস। তার পুরো নাম কার্ল হাইনরিশ মার্কস। ১৮১৮ সালের ৫মে কার্ল মার্ক্স প্রুশিয়া সম্রাজ্যের নি¤œ রাইন প্রদেশের অন্তর্গত ত্রিয়ের নামক শহরের এক ইহুদি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
আবু হাসান টিপু বলেন, সারাবিশ্বর সর্বহারাশ্রেণীর মহান শিক্ষক ও অকৃতিমবন্ধু আমৃত্যু বিপ্লবী কার্ল মার্কসের স্মরণ অনুষ্ঠানের এক বক্তৃতায় তাঁর অকৃত্তিম বন্ধু কমেরড ফ্রেডারিক এঙ্গেলস বলেছিলেন ‘১৪ই মার্চ বিকেল পৌনে তিনটায় জীবিতদের মাঝে সেরা চিন্তাবিদ তার চিন্তার পরিসমাপ্তি ঘটান। মাত্র দুই মিনিটের জন্য আমরা তাকে রেখে বাইরে গিয়েছিলাম, ফিরে এসে তাকে তার আর্মচেয়ারে বসা অবস্থায় পেলাম, তিনি ততক্ষণে শান্তিতে নিদ্রায় গিয়েছেন- চিরদিনের জন্য’।
তিনি বলেন, মৃত্যুর আগে কার্যত মার্কসের কোনো দেশ ছিল না। প্রায় ১৫ মাসের দুরারোগ্য ব্যাধীতে ভুগে এই মহান শিক্ষাগুরুর লন্ডেন মহাপ্রয়াণ ঘটে। তাঁর মৃত্যু পরবর্তীকালে শোক জানানোর জন্য জড় হয়েছিল মাত্র এগার জন মানুষ। কিন্তু তাঁর মৃত্যুর অনেক পরে বিশেষত রাশিয়াতে শ্রমিকশ্রেণীর বলশেভিক পার্টি ক্ষমতা দখল তথা বিশ্বে নতুন এক সমাজতান্ত্রিক দেশের অভ্যুদ্বয়ের পর নতুন বিশ্ব কার্ল মার্কসকে জাজ্বল্যমান করে তোলে।
আবু হাসান টিপু বলেন, তাঁর ১৩৪ তম এই প্রয়াণ বার্ষিকীতে তাঁরই অমর উক্তি “এতোদিন দার্শনিকেরা কেবল বিশ্বকে বিভিন্নভাবে ব্যাখ্যাই করে গেছেন, কিন্তু আসল কাজ হল তা পরিবর্তন করা।” সারা বিশ্বের শোষিত-বঞ্ছিত মানুষকে আজও শোষন মুক্তির দিশা প্রদান করছে। তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি বিশ্বে যতদিন মানব জাতির অস্তিত্ব থাকবে ততদিন মানব জাতির মুক্তির দিশারী, পথপদর্শক, শ্রমিকশ্রেণীর মহান শিক্ষক কার্ল মার্কসের অবদান শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হবে।
আজ ১৭ মার্চ শুক্রবার সকালে শ্রমিকনেতা কাউসার খানের সভাপতিত্বে মহামতি কার্ল মার্কস এর ১৩৪ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভাতে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি কর্তৃক অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভাতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, শ্রমজীবী নারী মৈত্রীর কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক নারীনেত্রী রাশিদা বেগম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ফতুল্লা থানা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব আলী, মুক্তা বেগম, মাফুজুর রহমান প্রমূখ।
