শরীয়তপুর জেলার ডামুড্যা পৌর এলাকার জলবায়ু ট্রাস্টের আওতায় ডামুড্যা পৌরসভার জলাবদ্ধতা নিরসন ও পরিবেশ উন্নয়ন প্রকল্পগুলো গত ৩ বছরে ও অনুমোদন না পাওয়ায় প্রকল্প থুবড়ে পড়েছে। ফলে পৌর এলাকার জলাবদ্ধতা কারনে জনদুর্ভোগ বেড়ে গেছে। পাপাশি শহর রক্ষা বাধঁ ঝুকিতে পড়েছে।
ডামুড্যা পৌরসভা সূত্রে জানাগেছে, ডামুড্যা একটি প্রথম শ্রেনীর পৌরসভা । এ পৌরসভার উত্তর ও পূর্ব পার্শ্ব দিয়ে বয়ে গেছে পদ্মার শাখা নদী। এ নদী দিয়ে সর্বদাই নৌযান চলাচল করে থাকে। বিশেষ করে জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত এ নদীতে বড় বড় যাত্রিবাহী লঞ্চ চলাচল করে। এ সকল নৌযান চলাচলের কারনে নদীর পানি ঢেউতে নদীর পাড় ভেঙ্গে বহু বাড়ি ঘর ও স্থাপনা বিলীন হয়ে গেছে। হুমকির মুখে পড়েছে শহর রক্ষা বাধটি। এ ছাড়া ডামুড্যা পৌরসভার পানি নিঃস্কাশনের জন্য নেই কোন ড্রেনেজ ব্যবস্থা । এতে করে জনগনের ভোগান্তি চরমে পৌছেছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই শহরে হাটুঁ পানিতে রাস্তাঘাট ও বাড়ি ঘর ডুবে যায়। রাস্তা দিয়ে লোকজন ও যানবাহন চলাচল করতে পারেনা। পৌর এলাকার নাগরিকদের সুযোগ সৃুবিধার জন্য পৌর কতৃপক্ষ ২০১৫ সালে জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ডে পৌর শহররক্ষা বাধা নির্মাণ , সৌর বিদ্যুতায়ন ও পৌর এলাকার পানি নিঃস্কাশনের জন্য ড্রেনেজ নির্মাণের জন্য ৬ কোটি ২২ লাখ টাকার ৩টি প্রকল্প দাখিল করা হয়। এর পাশাপাশি স্থানীয় সংসদ সদস্য প্রায়ত আঃ রাজ্জাকের তনয় নাহিম রাজ্জাক এমপি ডিও লেটার দেয়। এর পরেও প্রকল্পের কোন অগ্রগতি হয়নি। বর্তমানে প্রকল্পের প্রয়োজনী কাগজপত্রাদি পরিচালক ক্লাইমেট চেঞ্জ এর দপ্তরে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। বার বার তাগিদ দেয়ার পরেও যেন কতৃপক্ষের টনক নড়ছেনা। অজ্ঞাত কারনে প্রকল্পের মুখ থুবড়ে পড়ে আছে। কতৃপক্ষের অবহেলা ও গাফলতির কারনে ডামুড্যা পৌরসভার জলবায়ু ট্রাস্টের প্রকল্প গুলোর অনৃুমোদন না পাওয়ায় পৌরসভার নাগরিকদের দিন দিন দুর্ভোগ বেড়েই চলছে। জরুরী ভিত্তিতে এ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়ার জন্য পৌরবাসি জোর দাবী জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে ডামুড্যা পৌরসভার মেয়র মোঃ হুমায়ুন কবীর বাচ্চু ছৈয়াল বলেন, ৩ বছর যাবত জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ডে প্রকল্প দাখিল করে এমপি সাহেবকে দিয়ে ডিও লেটার দিয়েছি। তার পরেও অজ্ঞাত কারনে প্রকল্পের অনমোদন হচ্ছেনা। এতে করে পৌরবাসির জনদুর্ভোগ বেড়েগেছে। জরুরী ভিত্তিতে অনুমোদনের দাবী জানাচ্ছি।
স্থানীয় সংসদস সদস্য নাহিম রাজ্জাক বলেন, ডামুড্যা শহর রক্ষা বাধ ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নয়ন সহ সোলার প্যানেল নির্মানের জন্য ডিও লেটার দেয়া হয়েছে। এখনো অনুমোদন হয়নি।