Thu. May 1st, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

Untitled-1খােলা বাজার২৪।। শনিবার, ১৮ মার্চ ২০১৭: গত ১৭ই মার্চ ২০১৭ বঙ্গবন্ধুর ৯৮তম জন্মদিনে কলকাতার চোখ পত্রিকা আয়োজিত কলকাতার রবীন্দ্র সদনের জীবনান্দ সভাঘরে বিকেল ৫টায় হয়ে গেল শামসুর রহমান স্মারক, মান্না দে পদক ও চোখ সাহিত্য পুরষ্কার ২০১৬। এবারের চোখ সাহিত্য পুরষ্কার পেয়েছেন কলকাতা দেশ পত্রিকার সম্পাদক বিশিষ্ট সাহিত্যক হর্ষ দত্ত ও বাংলাদেশের সাহিত্যক মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল শামস্ সঙ্গীতে মান্না দে পদক পেলেন উস্তাদ বাবু রহমান এবং কবিতার শামসুর রাহমান স্মারক পেয়েছেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট কবি ও কন্ঠশিল্পী মোহাম্মদ কাফি শেখ।
gM.................1অনুষ্ঠানের উদ্বোধক ছিলেন কলকাতায় নিয়োজিত বাংলাদেশের উপরাষ্ট্রদূত জকি আহাদ, প্রধান অথিতি ছিলেন পূর্ণেন্দু প্রসাদ ভট্টাচার্য। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক তপন বন্দোপাধ্যায়, শিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়, সাহিত্যিক ব্রজেন মল্লিক এবং কবি ওয়াজেদ আলি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কবি পষ্কজ সাহা, সঞ্চালক কবি অমল কর, চুমকি কয়াল এবং চোখ পত্রিকার সম্পাদক কবি মানিক দে। উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশন করেন আদিত্য মুখোপাধ্যায়, অন্যানদের মধ্যে সঙ্গীত পরিবেশন করেন কৃষ্ণেন্দু সেন ও সোমা চেীধুরী। কবিতা পাঠ করেন সীমা লাহিরী মল্লিক ও রাজেশ সরকার। আবৃতি করেন মায়ন্তিনী বসু, অমৃত চ্যাটার্জী, নীলদ্রি বিশ্বাস ও রাজ্যশ্রী।
অনুষ্ঠানে মানিক দে’র লেখা ‘রাসেলের রক্ত ঋণ’ ও দেব জ্যেতি নারায়ণের ‘হে মহাজীবন’ দুটি গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন সাহিত্যিক হর্ষ দত্ত। কবি কাফি শেখ-কে মানপত্র প্রদান করেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক তপন বন্দোপাধ্যায়, মানপত্র পাঠ করেন চলচ্চিত্র পরিচালক বাদল সাহা, দস্তম্ভ (উত্তরীয়) পরিয়ে দেন ও পদক প্রদান করেন কতি পষ্কজ সাহা এবং অন্যান্য পুরষ্কার প্রদান করেন কবি মানিক দে।
অনুষ্ঠানে শামসুর রহমান স্মারক পুরষ্কার পাওয়ার পর কবি কাফি শেখ বলেন, আমি উদ্বেলিত ও অভিভূত। একেই তো বসন্তকাল, তারমধ্যে আমার প্রিয় কবি শামসুর রহমান এবং আরেক আত্মার আত্মীয় কবি জীবনান্দ দাস। তাঁরই সভাঘরে এবং জাতির জনক হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী প্রিয় বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে এই পুরষ্কার গ্রহণ আমার জীবনে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। আমি আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ। দীর্ঘ বক্তৃতা শেষে দর্শকের অনুরোধে তিনি রবীন্দ্র সংগীত পরিবেশন করেন।
Z…v........2দেশ পত্রিকার সম্পাদক বিশিষ্ট সাহিত্যিক হর্ষ দত্ত কলকাতার ধীরে ধীরে বাংলা ভাষার ব্যবহার কমে যাওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেন এবং বাংলাদেশের বাংলা ভাষার অগ্রগামীতার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, এত ব্যস্ততার মাঝেও শুধুমাত্র মানিক দে’র আহ্বান এবং কবি পষ্কজ সাহার আমন্ত্রণ আমি উপেক্ষা করতে পারিনি। বর্তমানে সমগ্র কলকাতায় বাংলা ভাষার ম্রিয়মানতা আমাকে আশাহীন করছে। কলকাতা সরকারের উচিত সারা ভারতবর্ষে বাংলা ভাষাকে বাধ্যতামূলক করা।