খােলা বাজার২৪।। মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০১৭: বোরো ধান ক্ষেতে এ্যালমিক্স নামক আগাছানাশক ওষুধ প্রয়োগ করে ক্ষতির মুখে পড়েছে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ১৫টি গ্রাম ও সদর উপজেলার গড়েয়া ইউনিয়নের ৫টি গ্রামের শত শত কৃষক। প্রায় ৪০০ বিঘা জমির ধানের চারা বাড়ছে না আর বিবর্ণ হয়ে পড়ায় ফলন নিয়ে দুশ্চিন্তায় চাষিরা।
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ধনতলা ইউনিয়নের খোচাবাড়ী গ্রামের অথিন্দ্রনাথ রায় বলেন, তিনি লাহিড়ী হাটের লুৎফরের দোকান থেকে আগাছানাশক কিনে বোরো ধান ক্ষেতে ছিটিয়ে দেন। এর ক’দিন পরে সবুজ ধান গাছ হলদে হয়ে যায়। গাছও বাড়ছে না। একই অভিযোগ পাশের গ্রামের মোসলেম উদ্দীনের।
চাকদহ গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম জানায়, ধানের চারা রোপণের পর নিড়ানী খরচ বাঁচাতে (পেট্রোকেম অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের) মেটসালফুরান মিথাইল ও ক্লোরিমিউরোন ইথাইন গ্রুপের এ্যালমিক্স নামে আগাছানাশক ওষুধ প্রয়োগ করে। এতে কয়েক দিনেই সবুজ তরতাজা চারা হয়ে যায় বিবর্ণ। আর গাছগুলোর বৃদ্ধি না পাওয়ায় দিশাহারা হয়ে পড়েছে চাষিরা। বাড়তি খরচ আর মাথার ঘাম পায়ে ফেলেও কূলকিনারা পাচ্ছে না তারা। ক্ষতিপূরণের দাবিতে বালাইনাশক ডিলারদের দোকানে প্রতিদিনই ধরনা দিচ্ছে তারা। চাষিদের অভিযোগ, ওই কোম্পানির আগাছা নাশক ওষুধ ব্যবহার করে ধানক্ষেত পুড়ে গেছে। এতে ফলন কম হলে লাভতো দূরের কথা লোকসান গুনতে হবে তাদের। ওই আগাছানাশক ওষুধ বিক্রি বন্ধ করে কৃষি বিভাগ চাষিদের ক্ষতিপূরণ আদায়ের আশ্বাস দিয়ে ক্ষেতে হরমোন, জিংক ও ছত্রাকনাশক ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে।
এদিকে কৃষিবিভাগ কোম্পানির ওই ওষুধ বাজারে বিক্রি বন্ধ করে দিয়ে কোম্পানিটির পরিবেশক ক্ষতিপূরণ আদায়ে আশ্বস্ত করেছে কৃষকদের।
এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তরের ঠাকুরগাঁওয়ের উপপরিচালক কে এম মাউদুদুল ইসলাম।