Thu. Mar 13th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

nbs24-Joypurhat-Akkelpurখােলা বাজার২৪।। শনিবার, ২৫ মার্চ ২০১৭: আজ ২৫ মার্চ, ১৯৭১ সালের এই দিনে বর্বরোচিত নারকীয় হত্যাযজ্ঞে মেতে ওঠে পাকিস্থানি হানাদার বাহিনি । এ দেশে নারী শিশু আবাল বৃদ্ধ বনিতাসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের উপরে চালায় গণহত্যা। নারকীয় এই কালো অধ্যায় বা কালো রাত্রিকে আখ্যায়িত করা হয়েছে গণহত্যা দিবস হিসাবে। এরই ধারাবাহিকতায় বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞ থেকে রেহাই পায়নি উত্তর জনপদের জেলা শহর জয়পুরহাটের সেই মানুষগুলি যারা এখন শুধুই স্মৃতি। এর মধ্যে জয়পুরহাট জেলা সদরের কড়ই কাদিরপুর বদ্ধভূমি যেখানে কারো কারো মতে ৩৭০ জনের হত্যাকান্ড ঘটলেও অনেকেই বলেছেন অসংখ্য ও অ-গনিত। সদরের কুঠিবাড়ী ব্রিজে অসংখ্য হত্যাকান্ড ঘটিয়ে অনেক কে পুতে রেখে অনেক কে নদীর পানিতে ভাসিয়ে দেয়া হয়েছে।
খনজনপুর রেজিঃ অফিস (তৎকালিন সাব ডিভিশন হেড-কোয়াটার) সেখানেও চালানো হয়েছে গণহত্যা। তৈরী করা হয়েছিল টর্চার সেল। পার্শ্বেই খনজনপুর মিশন স্কুল। শিক্ষিকাদের রুমে পাশবিক নির্যাতন করা হত মেয়েদের। মিশন স্কুলের গার্লস বডিং এ ইন্দিরাতে মুক্তিযোদ্ধাসহ সাধারন মানুষকে মেরে ফেলে দেয়া হয়েছিল। একই স্কুলের উত্তর পাশে লোহার রড দিয়ে সিমেন্টের পাটাতন তৈরী করে মুক্তিযোদ্ধাসহ সাধারন মানুষকে খুচিয়ে মারা হত। বর্তমানে ও জায়গায় মিশন কর্তৃপক্ষ ইন্দিরা কূপটি সীল করে দিয়েছে। এবং জায়গাগুলিতে মেহেগুনি গাছ লাগিয়ে বাগান তৈরী করেছে। স্কুলের ভেতরে লাল বিল্ডিং এর পাশে আরো একটি কূপ আছে যেখানে একই কায়দায় চালানো হতো হত্যাযজ্ঞ। বর্তমানে সে কূপটিও সীল করা। এবার নজর রাখি জেলা সদরের পাগল দেওয়ান বদ্ধভূমিতে। সেখানেও চালানো হয়েছে বর্বরচিত লোমহর্সক সেই হত্যাযজ্ঞ। যার শিকার হয়েছে মুক্তিযোদ্ধাসহ অগনিত সাধারন মানুষ। পাগল দেওয়ান বদ্ধভূমিতে পুতে রাখা হয়েছে জয়পুরহাট জেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান রকেটের দাদাকেও। কালের স্বাক্ষী হিসাবে রয়ে গেছে, পাগল দেওয়ান বদ্ধভূমির পাশেই যার অবস্থান সেই মফিজ উদ্দিন। সেখানে পাক বাহিনিদের একটি সুরক্ষিত বাংকার আজও বিদ্যমান। এই জায়গাটিকে সংরক্ষিত করে রাখা জরুরী বলে মনে করেন উল্লেখিত তথ্য সুত্রদাতা অকুতভয় বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়পুরহাট পৌর এলাকার খনজনপুরের বাসিন্দা এস এম জাকারিয়া হোসেন মুন্টু।