খােলা বাজার২৪।। শনিবার, ২৫ মার্চ ২০১৭: মুহাম্মদ ওমর ফারুক, চকরিয়া : কক্সবাজারের চকরিয়ায় ফুটবল খেলায় সংঘর্ষ থামাতে গেলে পুলিশের ওপর আক্রমণ চালিয়েছে উশৃঙ্খল খেলোয়াড় ও লোকজন। এ সময় পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয় একটি অস্ত্রও। হামলায় পুলিশের এক কনষ্টেবল আহত এবং উভয়পক্ষের সংঘর্ষে আরো অন্ত ১৫ জন আহত হয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়।
শুক্রবার সকালে উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নের বহদ্দারকাটা মাতামুহুরী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পাশে বিএমচর ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে এ ঘটনা।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শুক্রবার সকালে উপজেলার বিএমচর ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে প্রীতি ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করে সিএনজি অটোরিক্সা চালকেরা। তন্মধ্যে পৌরসভার আমানপাড়া এবং বিএমচর ইউনিয়নের বহদ্দারকাটা টিম খেলায় অংশ নেয়। নির্দিষ্ট সময়ের খেলা শেষ হলেও কোনপক্ষ গোলের দেখা না পাওয়ায় ট্রাইবেকারে গড়ায় প্রীতি ম্যাচ। এই পর্যায়ে পেনাল্টির সময় বহদ্দারকাটা টিমের এক খেলোয়াড় আমান পাড়াকে এক গোল দেয় বলে রেফারী নিশ্চিত করে।
এ সময় আমানপাড়া টিমের খেলোয়াড় ও তাদের পক্ষীয় লোকজন ওই গোল হয়নি বলে চ্যালেঞ্জ করেন। এনিয়ে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে ব্যাপক সংঘর্ষে জড়িয়ে যায় উভয়পক্ষ। এ সময় উপস্থিত লোকজন ও পুলিশ এগিয়ে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। কিন্তু কে শোনে কার কথা। তবে একজন উশৃঙ্খল যুবককে পুলিশের এক কনষ্টেবল ধাওয়া দিলে তাকে (কনষ্টেবল) পিটিয়ে অস্ত্রটি ছিনিয়ে নেয়।
ঘটনার পর পর অভিযান চালিয়ে অস্ত্রটি উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। সাথে ঘটনায় জড়িত বিএমচর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নূর হোসেনের ছেলে শফিউল আলমকে গ্রেফতার করেন। মাতামুহুরী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ও পরিদর্শক সমীর চন্দ্র সরকার জানান, হামলায় উক্যমং মার্মা (৪৫) পুলিশের এক সদস্যও আহত হয়। তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
চকরিয়া থানার ওসি মো. জহিরুল ইসলাম খান বলেন, ‘পুলিশের ওপর হামলা ও অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে। মামলায় ৪০ জনকে আসামী করা হয়েছে। হামলায় জড়িতদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।