খােলা বাজার২৪।। শনিবার, ২৫ মার্চ ২০১৭: জেসিকা চাকমা, রাঙ্গামাটি : পর্যটন এলাকা হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রামকে অধিক পরিচিত করাসহ ভ্রমণপিপাসুদের উৎসাহিত করতে পাহাড়ে প্রথম আয়োজন করা হয়েছে মাউন্টেইন বাইক প্রতিযোগিতা। শুক্রবার সকালে রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক পাহাড় হতে দৌঁড় শুরু হয়। শনিবার রাঙ্গামাটি শহরে গিয়ে পৌঁছান প্রতিযোগিরা। শেষ হবে রোববার বান্দরবানের নীলগিরি পাহাড় গিয়ে।
এ উপলক্ষে বিকাল ৪টায় এক সংবাদ সম্মেলন করে এই মাউন্টেইন বাইক প্রতিযোগিতার বিস্তারিত তুলে ধরেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা। এ সময় পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব এএইচএম শাহেন রেজা, সুবিনয় ভট্টাচার্য্য, অ্যাডভেঞ্চার ক্লাবের সচিব মশিউর রহমান, জেলা পরিষদের মুখ্যনির্বাহী কর্মকর্তা এসএম জাকির হোসনসহ পরিষদের সদস্য ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, শুক্রবার সকাল ৭টায় সাজেক পাহাড় হতে নিজ নিজ বাইক নিয়ে দৌঁড় শুরু করে প্রতিযোগিতায় অংশ নেন প্রতিযোগিরা। খাগড়াছড়ি জেলা সদর গিয়ে পৌঁছান পাঁচ ঘন্টার মধ্যে। সেখানে রাতযাপনের পর শনিবার সকাল ৭টায় আবার খাগড়াছড়ি সদর থেকে দৌঁড় শুরু করে আড়াই ঘন্টার মধ্যে রাঙ্গামাটি জেলা সদর গিয়ে পৌঁছান প্রতিযোগিরা।
রোববার সকাল ৭টায় শহরের আসামবস্তির ব্রিজ থেকে দৌঁড় শুরু হবে বান্দরবানের নীলগিরি উদ্দেশ্যে। প্রতিযোগিতায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে নিশাত সুলতানা নামে এক নারীসহ মোট ৪২ জন অংশ নিচ্ছেন। তবে সাজেক থেকে মূল প্রতিযোগিতায় অংশ নেন ৩১ জন। দ্বিতীয় দিন খাগড়াছড়ির ৮ জন এবং রাঙ্গামাটির ৩ জন মিলে আরও ১১ জন বাইক প্রতিযোগিতায় যোগ দেন। প্রতিযোগিদের উৎসাহিত করতে আজ সকাল ৬টায় রাঙ্গামাটি শহরে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করবে জেলা পরিষদ।
প্রতিযোগিতার দৌঁড় শেষ হবে বান্দরবানের নীলগিরি গিয়ে। সেখানে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করবেন, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং, সচিব নববিক্রম কিশোর ত্রিপুরাসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। পুরস্কার হিসেবে দেয়া হবে প্রথম বিজয়ীকে নগদ ৮০ হাজার, দ্বিতীয় বিজয়ীকে ৬০ হাজার এবং তৃতীয় বিজয়ীকে ৪০ হাজার টাকা।
এ সময় আরও বলা হয়, খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবান জেলার মোট ২৫০ কিলোমিটার পাহাড়ি রাস্তাব্যাপী বাংলাদেশে এবারই প্রথম ‘ট্যুর ডি সিএইচটি মাউন্টেইন বাইক প্রতিযোগিতা-২০১৭’এর আয়োজন করা হয়েছে। মূলত: বিশ্বে পর্যটন এলাকা হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রামকে তুলে ধরতে এবং ভ্রমণপিপাসু লোকজনকে উৎসাহিত করতে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবারের মহান স্বাধীনতা দিবসকে সামনে রেখে এই বাইক প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। এতে সহায়তা করছে তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ, জেলা প্রশাসন, ক্রীড়া সংস্থা, পুলিশ ও সেনাবাহিনী।