খােলা বাজার২৪।। সোমবার, ২৭ মার্চ ২০১৭: মাদক ব্যবসায় বাঁধা দেওয়ায় পিতা-মাতাকে রড ও দাসা দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে মাদক ব্যবসায়ী ছেলে দিলা দেওয়ান। ঘটনাটি মুন্সীগঞ্জে আলোচনার ঝড় বইছে। এমন ঘটনা আসলেই দু:খ জনক। বাবা গফুর দেওয়ানের ছেলে দিলা দেওয়ান দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা করে আসছে। মাদক ব্যবসা ছেড়ে দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন বাবা গফুর দেওয়ান। এই বাধা দেওয়াটাই তার ও তার স্ত্রীর জন্য কাল হয়ে দাঁড়ালো। বিষয়টি এখন আর মুখে মুখে নেই থানায় মামলা হয়েছে। তবে আসামী এখনো গ্রেফতার হয়নি।
মামলার এজহারে থেকে জানা যায়, দেওয়ানকান্দি মৃত জিয়ার উদ্দিনের ছেলে মো: গফুর দেওয়ান (৭০) বাদী হয়ে মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় ২৫ মার্চ ২০১৭ইং তারিখে মামলা দায়ের করেন যার নং ৫১। এজহারে উল্লেখিত আসামীরা হলো দিলা দেওয়ান (৩৫) পিতা মো: গফুর দেওয়ান, তাছলিমা (৩২) স্বামী মোশাররফ দেওয়ান, রোকসানা বেগম (২৮) স্বামী দিলা দেওয়ান, জয়নব বেগম (৪২) স্বামী মো: বাবুল দেওয়ান, মো: খোকন (৪০) পিতা মৃত আইয়ুব আলী, মো: জাহাঙ্গীর (২৫), মো: আলমগীর (২৩), সজিব (২০) সর্ব পিতা মো: খোকন, মো: হারুন (৪০) সকলের বাড়ী দেওয়ানকান্দি অজ্ঞাত আরো ২/৩ জন।
এজহারে উল্লেখ করা হয়েছে ১নং থেকে ৬নং আসামীরা নেশাজাতীয় ইয়াবা ট্যাবলেটসহ জাল টাকার ব্যবসা করিয়া আসিতেছে দীর্ঘদিন ধরে। উক্ত অবৈধ ব্যবসা করিতে নিষেধ করিলে ২৪ মাঝ রাতে আনুমানিক ১১ টায় বাদীর ছেলে দিলা দেওয়ান ও তার সাঙ্গপাঙ্গসহ লোহার রড, কাঠের দাসা, লাঠি নিয়ে বাদীর বাড়ীতে প্রবেশ করে বাবা ও মাকে গালিগালাজ করে। বাবা মার সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হত্যার উদ্দেশ্যে লোহার রড দিয়ে ছেলে দিলা দেওয়ান পিতা গফুর দেওয়ানকে মাথায় আঘাত করে। আঘাতটি মাথায় না লেগে ডান হাতের কব্জিতে লাগিয়া গুরুতর হাড় ভাঙ্গা জখম হয়।
আহত গফুর দেওয়ান জানান, তাঁর ডাক চিৎকারে স্ত্রী সখিনা বেগম ঘর হইতে বাহির হইয়া আগাইয়া আসিলে ইজহারভুক্ত ২ ও ৩নং আসামী বাদীর স্ত্রী সখিনা বেগমকে তাহাদের হাতে থাকা কাঠের দাসা দিয়া এলোপাথারীভাবে পিটাইয়া তাহার শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা-ফোলা বেদনায়দায়ক জখম করে।
আমাদের ডাক চিৎকারে আশে পাশের লোকজন আগাইয়া আসিলে বিবাদীরা ঘটনার বিষয়ে পুলিশকে জানাইলে প্রাণে মারিয়া ফেলিবে বলিায়া হুমকি দিয়া চালিয়া যায়। উপস্থিত লোকজন আমাকে ও আমার স্ত্রী সখিনা বেগমকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়া আসে। কর্তব্যরত চিকিৎসাকে আমাকে উক্ত হাসপাতালে ভর্তি করেন এবং স্ত্রী সখিনা বেগমকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে ছেড়ে দেন। বাদী গফুর দেওয়ানের অভিযোগ মাদক ও জাল টাকার ব্যবসায়ী দিলা দেওয়ান ও তাদের সহযোগিদের গ্রেফতারে অবহেলা করছে পুলিশ। আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবী জানান গফুর দেওয়ান।
এস.আই হাশেম বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন আসামী গ্রেফতারের জোর প্রচেষ্টা চলছে। যে কোন সময় আসামীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।