খােলা বাজার২৪।। মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০১৭: মনোহরদীতে লিপি পাঠান নামের এক গৃহবধুকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার উপজেলার রুদ্রদী গ্রামে। এ ঘটনায় লিপি পাঠান বাদী হয়ে মনোহরদী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন একটি মামলা দায়ের করেছেন।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, লিপি পাঠানের স্বামী ফজলুল হক গত ৯ বছর যাবৎ প্রবাসে থাকার সুযোগে একই গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে মোবারক হোসেন দীর্ঘ দিন যাবৎ গৃহবধু লিপিকে রাস্তায় ও বাড়ীর আশপাশে এসে উত্যাক্ত করাসহ নানা রকমের কু-প্রস্তাব দিয়ে থাকে। প্রস্তাবে রাজী না থাকার কারনে মোবারক বিভিন্ন সময় স্বামীর সংসার ভেঙ্গে দেওয়ার হুমকিও দিয়ে থাকে। এ ঘটনার জের ধরে গত বৃহস্পতিবার লিপি পাঠানের স্বামী বাড়িতে না থাকার সুযোগে মোবারক হোসেন রাত ৯ টা ৩০ মিনিটে লিপির বসত ঘরে শুয়ার রুমে ঢুকে যায়।
পরে গৃহবধু লিপিকে ধর্ষনের চেষ্টা করে মোবারক।এ সময় লিপির ডাক-চিৎকারে তার স্বামী ঘরে ঢুকলে মোবারক পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ দিকে লিপির স্বামী বাড়ির দরজা ও গেটে তালা লাগিয়ে দিলে মোবারক আটকা পরে যায়। এক পর্যায়ে মোবারক পালানোর আর কোন পথ না পেয়ে তাকে বাঁচাতে তার আরো বেশ কয়েকজন সহযোগীকে মোবাইলে ফোন করে। মোবারকের ফোনে সাড়া দিয়ে পওে মো. জাকির হোসেন, মো. সালামত ও মো. সোলেমান নামে আরো তিনজন একই রাতে ফজলুল হকের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় মোবারকের লোকজন তার বাড়ির গেটে তালা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে। ঘরে ঢুকে ফজলুল হক ও তার স্ত্রী লিপি পাঠানকে মারধর করে মারাতœক ভাবে আহত করে। পরে মোবারকের নেতৃত্বে সহযোগীদেও নিয়ে ফজলুল হকের টেবিল বাক্স ভেঙ্গে নগদ ৩ লাখ ২৫ হাজার টাকার নিয়ে যায়। এ সময় লিপি পাঠানের গলায় থাকা এক ভরি ওজনের ৪০ হাজার টাকা মুল্যের একটি চেইন তারা নিয়ে যায়। মোবারককে উদ্বার করে নিয়ে যাওয়ার সময় তার সহযোগীরা ফজলুল হকের বাড়িঘরের টিনের প্রাচীর ভাঙচুর করে প্রায় অর্ধ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি করেছে বলে বাদির অভিযোগে জানা যায়। এ ঘটনায় পরের দিন ফজলুল হক ও তার স্ত্রী মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়।
এ ব্যাপারে মনোহরদী থানার এসআই আবুল কালাম ঘটনার সত্বতা স্বীকার করে বলেন, আসামীদের গ্রেফতার করতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।