খােলা বাজার২৪।। মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০১৭: ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শীর্ষ নেতা ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক বলেছেন, আমি বাংলাদেশের স্বাধীনতার লক্ষ্যে নেতৃত্ব প্রদানকারী সকল জাতীয় রাজনৈতিক ও সামরিক নেতৃত্বের স্মৃতির প্রতি সম্মান জানাই। অবশ্যই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মজলুম জননেতা মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী এবং শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্মৃতির প্রতি সম্মান জানায়। ৩০ লক্ষ শহীদের স্মৃতির প্রতি সম্মান জানায়। জীবিত সকল মুক্তিযোদ্ধার প্রতি সম্মান ও শুভেচ্ছা জানাই। তিনি বলেন, স্বাধীনতা একটি জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন এবং রক্তস্নাত স্বাধীনতা অভূতপূর্ব অর্জন। বাংলাদেশ সমকালীন বিশ্বে একটি অনবধ্য উদাহরণ। মহাকাশ থেকে নিক্ষিপ্ত দ্রব্যখন্ড নয়, পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে নিক্ষিপ্ত লাভা নয়, বাংলাদেশের স্বাধীনতা হচ্ছে ৩০ লক্ষ শীহদের রক্তের বিনিময়ে কেনা স্বাধীনতা।
মঙ্গলবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবস্থ ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তনে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি চট্টগ্রাম মহানগর আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
নগর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইলিয়াসের সভাপতিত্বে ও কল্যাণ পার্টি উত্তর জেলা সভাপতি দিদারুল আলমের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশগ্রহন করেন বিএনপি চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক জালাল আহমদ চৌধুরী, কল্যাণ পার্টির মহানগর সহ-সভাপতি এডভোকেট জহিরুল হক আনচার, সাধারণ সম্পাদক নরুল আলম, ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরীক দল বাংলাদেশ ন্যাপের মহানগর সভাপতি ওসমান গণি সিকদার, বিজেপি উত্তর জেলার সভাপতি জুলকারনাইন, এনপিপির সভাপতি আনোয়ার সাদেক, জাগপার সভাপতি আবু মোজাফ্ফর আনাছ, জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন, লেবার পার্টির সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন আহমদ, সাবেক ছাত্র নেতা ভিপি সাইফুল আলম, কল্যাণ পার্টির মহানগর যুগ্ম সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমদ, দক্ষিণ জেলার কল্যাণ পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. কলিমুল্লাহ, মহানগর ন্যাপের সাংগঠনিক সম্পাদক বিজয় বড়ুয়া, আবচার প্রমুখ।
সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, গত ৪৬ বছরে বাংলাদেশের অর্জনকে খাট করে দেখার অবকাশ নেই। আবার জাতীয় আকাঙ্খার সীমারেখাও ক্রমান্বয়ে বর্ধনশীল। এই পরিপ্রেক্ষিতে, স্বাধীনতা ও উন্নয়নকে অধিকতর অর্থবহ করতে হলে, মানুষকে স্বাধীনতার পূর্ণস্বাদ পেতে হলে আমাদেরকে আরো আন্তরিক পরিশ্রম করতে হবে; সচেতন থাকতে হবে। জনগণকে সাথে নিয়ে এই কাজে ভূমিকা রেখেই যাচ্ছে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি। তিনি বলেন, কল্যাণ পার্টির অন্যতম লক্ষ বস্তু হচ্ছেএকটি কল্যাণ রাষ্ট্র কায়েম করা। এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য আমাদের রাজনীতিতে উদারতা, সহনশীলতা এবং গণআবেগের সাথে সংবেদনশীল করতে হবে।
ম্রিয়মান ক্ষয়িষ্ণু গণতান্ত্রিক পরিবেশকে ধরে রাখতে হবে। গণতান্ত্রিক পরিবেশ ব্যতিত সঠিক উন্নয়ন ও জাতিগঠন সম্ভব নয়। গণতন্ত্রের প্রতি বর্তমান সরকারের অবহেলা ও দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের দৃষ্টির বাইরে নয়; আমরা এর সংশোধন দাবি করি।
এই সংশোধনের জন্যে বাংলাদেশের রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন জরুরী। ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, জঙ্গিবাদকে মোকাবেলা করার জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। না হয় এটা মোকাবেলা করা কোন মতেই সম্ভব নয়। ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস পালন করার জন্য ৩০ লক্ষ শহীদের নাম ঠিকানা আগে ঠিক করতে হবে, তাহলেই সেটা আন্তর্জাতিক দিবস হিসেবে ঘোষিত হতে পারে।
