খােলা বাজার২৪।। বুধবার, ২৯ মার্চ ২০১৭: গাইবান্ধা-১ সুন্দরগঞ্জ আসনের সরকার দলীয় সাংসদ মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনকে গুলি করে হত্যার দায় স্বীকার করা ওই আসনের সাবেক এমপি (অব) কর্ণেল ডা. আব্দুল কাদের খাঁন আদালতে ১৬৪ ধারায় দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি স্বেচ্ছায় দেননি বলে আদালতে তার আইনজীবির মাধ্যমে সেই জবানবন্দি প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়েছেন। আবেদনে বলা হয়েছে, পুলিশের অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে আদালতে তিনি হত্যার দায় স্বীকার করেন।
এমনটিই উল্লেখ করে বুধবার (২৯ মার্চ) দুপুরে গাইবান্ধা অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মইনুল হাসান ইউসুবের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন আব্দুল কাদের খাঁনের আইনজীবি। পরে বিচারক আবেদনটি নথিভূক্ত করার আদেশ দেন।
আব্দুল কাদের খাঁনের আইনজীবি অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান মুঠোফোনে জানান, লিটন হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি পুলিশ কর্তৃক দেওয়া বক্তব্য। গ্রেফতারের পর পুলিশ কাদের খাঁনকে নির্যাতন করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে বাধ্য করেন। এরপর কাদের খাঁন আদালতে লিটন হত্যার দায় স্বীকার করে জবাবনবন্দি দেন।
তিনি আরও জানান, যেহেতু স্বেচ্ছায় আব্দুল কাদের খাঁন আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করেননি। এ কারণে জবানবন্দি প্রত্যাহারের জন্য আদালতে আবেদন করা হয়। বিচারক শুনানী শেষে আবেদনটি নথিভূক্ত করার নির্দেশ দেন।
এছাড়া হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় যে জবানবন্দি দিয়েছেন আব্দুল কাদের খাঁন তা পরবর্তীতে প্রত্যাহারের জন্য উচ্চ আদালতে আবেদন করা হবে বলেও জানান তিনি।
২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নে শাহবাজ (মাস্টাপাড়া) গ্রামের নিজ বাড়িতে আততায়ীদের গুলিতে নিহত হন এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন। এরপর ২১ ফেব্রুয়ারি বিকেলে বগুড়া জেলা শহরের কাদের খানের স্ত্রীর মালিকানাধীন গরীব শাহ ক্লিনিক থেকে তাকে গ্রেফতার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরে ২২ ফেব্রুয়ারি তাকে ১০ দিনের রিমা-ে নেয় পুলিশ। এরপর রিমা-ে থাকাকালীন চতুর্থ দিনের মাথায় আব্দুল কাদের খাঁন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
কর্ণেল (অব.) ডা. আব্দুল কাদের খাঁন গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি। তিনি সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ছাপরহাটি ইউনিয়নের পশ্চিম ছাপরহাটি (খাঁনপাড়া) গ্রামের মৃত্যু নয়ান খাঁনের ছেলে।