Wed. Apr 30th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

1kখােলা বাজার২৪।। বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০১৭: সিলেটের দক্ষিণ সুরমার আতিয়া মহলে অভিযানের রেশ না কাটতেই এবার মৌলভীবাজারের দুটি বাড়িতে জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পেয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। একটি বাড়ি মৌলভীবাজার পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বড়হাট এলাকায়, অন্যটি সদর উপজেলার খলিলপুর ইউনিয়নের নাসিরপুর গ্রামে। গত মঙ্গলবার রাত ২টা থেকেই বাড়ি দুটি ঘিরে রেখেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার দিনভর উভয় এলাকা থেকেই থেমে থেমে গুলি ও বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেছে। স্থানীয় লোকজনের নিরাপত্তার স্বার্থে বিকেল থেকে ওই দুই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে জেলা প্রশাসন।

সন্ধ্যায় বৃষ্টির মধ্যেই সোয়াত নাসিরপুরের বাড়িটিতে অভিযান শুরু করে। সোয়া ৭টা পর্যন্ত থেমে থেমে ব্যাপক গুলির শব্দ পাওয়া যায়। পুলিশের সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি কামরুল আহসান বলেন, “সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সোয়াট টিম ও কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সদস্যরা ‘অপারেশন হিট ব্যাক’ নামে অভিযান শুরু করেছে। ” তবে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার পর ওই এলাকা থেকে আর কোনো গুলির আওয়াজ পাওয়া যায়নি। রাত ১১টার দিকে র‌্যাবের শ্রীমঙ্গল ক্যাম্পের অধিনায়ক এএসপি মো. মাইনুদ্দীন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আলো স্বল্পতার কারণে অভিযানে আপাতত বিরতি দেওয়া হয়েছে, রাতেই আলোর ব্যবস্থা করে অথবা ভোরে অভিযান পুনরায় শুরু হবে। ’

এরই মধ্যে গতকাল বিকেলে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার কোটবাড়ী এলাকার গন্ধমতী বড় কবরস্থানের পাশে সন্দেহভাজন জঙ্গি আস্তানার খোঁজ পেয়ে একটি বাড়ি ঘেরাও করে রেখেছে পুলিশ। ওই আস্তানায় একজন আত্মঘাতী জঙ্গি রয়েছে বলে জানিয়েছেন কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার শাহ মো. আবিদ হোসেন। তাঁর ভাষ্যমতে, মঙ্গলবার রাতে এক জঙ্গিকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। তার দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ওই বাড়িটি ঘিরে রাখা হয়েছে। পুলিশ সূত্র জানায়, ওই জঙ্গির কাছে সুইসাইডাল ভেস্ট এবং বোমা-গ্রেনেড থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আজ কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট নেওয়া হবে। এ অবস্থায় গতকাল প্রধান নির্বাচন কমিশার কে এম নুরুল হুদা সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘পুলিশ জানিয়েছে, প্রয়োজনে ভোট শেষে তারা অভিযান চালাবে। ’

কুমিল্লার এসপি জানান, ‘সোয়াট টিমকে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা আসলে অভিযান চালানো হবে। ’ কখন অভিযান চালানো হবে—জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভোটের পরে অভিযান চালানো হতে পারে।

মৌলভীবাজারের পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড এবং সিলেটে জঙ্গি আস্তানার খোঁজ পাওয়ার পর ধারাবাহিক তদন্তে মৌলভীবাজারের বাড়ি দুটির বিষয়ে তথ্য মেলে। মঙ্গলবার রাতে বাড়ি দুটি শনাক্ত করা হয়। মঙ্গলবার রাত ২টা থেকে একই সঙ্গে পুলিশ দুটি বাড়ি ঘেরাও করে। মৌলভীবাজার জেলার সব থানা থেকে রাতেই পুলিশ সদস্যদের মৌলভীবাজার সদরে নিয়ে যাওয়া হয়। গতকাল ভোরে হবিগঞ্জ থেকেও বিপুলসংখ্যক পুলিশ এসে অভিযানে যোগ দেয়। সকাল ৭টা ১০ মিনিটে মৌলভীবাজারের এসপি মো. শাহজালাল পুলিশ নিয়ে নাসিরপুরের আস্তানার কাছে গেলে জঙ্গিরা ভেতর থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছোড়ে। এ সময় পুলিশ পিছিয়ে এসে আস্তানা লক্ষ্য করে গুলি চালায়। ভেতর থেকে জঙ্গিরাও পাল্টা গুলি করে। সকাল ১০টায় র‌্যাবের দুটি দল পুলিশের সঙ্গে যোগ দেয়।

দুটি বাড়ির মধ্যে দূরত্ব প্রায় ২০ কিলোমিটার। উভয় বাড়ির মালিক একই ব্যক্তি, তাঁর নাম সাইফুল ইসলাম। তিনি লন্ডন প্রবাসী। একজন তত্ত্বাবধায়ক বাড়ি দুটি দেখাশোনা করেন। বড়হাটের বাড়িটি দোতলা বাংলো। নাসিরপুরে টিনের চালার বাংলো ধাঁচের বাড়িটি চারদিকে বাগানঘেরা।

দুপুরে ঢাকায় নিজ দপ্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, মৌলভীবাজারের দুই বাড়ির মধ্যে একটিতে তিন-চারজন, আরেকটিতে আরো বেশি জঙ্গি থাকতে পারে বলে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাদের মধ্যে কোনো বড় জঙ্গিও থাকতে পারে। ঢাকা থেকে পুলিশের বিশেষ ইউনিট সোয়াট ও বোমা নিষ্ক্রিয়করণ টিম মৌলভীবাজারের উদ্দেশে রওনা হয়েছে। অভিযান চালাতে প্রয়োজনে সেনাবাহিনীও নামানো হবে।

গতকাল বিকেল সাড়ে ৪টায় ঢাকা থেকে সোয়াট সদস্যরা নাসিরপুরে পৌঁছে। পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের একটি দলও সেখানে যায়। সেখানে ঘেরাও করা বাড়িটির চারদিকে ইটের প্রাচীর দেওয়া। ভেতরে টিনের চালার ঘর। প্রাচীরের বাইরে থেকে পুলিশ ও র‌্যাব সদস্যরা সারা দিনই থেমে থেমে গুলি করেছেন। ভেতর থেকে গুলি-বোমা ছুড়েছে জঙ্গিরা।

পুলিশ কর্মকর্তারা গতকাল দুপুরে জানান, উভয় বাড়ির ভেতরে অবস্থান করা সন্দেহভাজন জঙ্গিদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা চলছে। তবে ভেতর থেকে তারা এখনো কোনো কথা বলেনি।

মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র ফজলুর রহমানের বাড়ি বড়হাট এলাকায়। তিনি বলেন, ‘লন্ডন প্রবাসী সাইফুল ইসলামের যে বাসাটি জঙ্গি আস্তানা হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে সেটিতে একজন রিকশাচালক তাঁর পরিবার নিয়ে থাকে বলে জানতাম। আমি ঢাকায় ছিলাম, খবর পেয়ে দ্রুত চলে এসেছি। ’

খলিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (ইউপি) অরবিন্দ পোদ্দার বলেন, ‘বাড়িটি আগে খালিই ছিল। দুই মাস ধরে ভাড়াটিয়া থাকছে বলে জেনেছি। কারা ভাড়া নিয়েছে তা জানি না। ’ নাসিরপুর গ্রামের রাজন আহমদ বলেন, ‘ভোর ৭টার দিকে প্রচণ্ড শব্দে ঘুম ভাঙে। তারপর থেকে সারা দিনই গুলি আর বোমার শব্দ পেয়েছি। ’

উভয় বাড়ি তত্ত্বাবধান করছেন সাইফুল ইসলামের মামাতো বোনের স্বামী জুয়েল। তিনি বলেন, নাসিরপুরের বাড়িতে টিনের চালার তিনটি ঘর আছে। একটি ঘরে পরিবার নিয়ে তিনি থাকেন। একটি ঘরে এক রিকশাচালক থাকে। অন্য ঘরটিতে ভাড়াটেরা থাকে। তারা গত জানুয়ারিতে সাত হাজার টাকা ভাড়ায় উঠেছে। নিজেকে মাহফুজ পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি ভাড়া নিয়েছেন। বাড়ি বলেছেন টাঙ্গাইল। তিনি একটি কম্পানির ডিলার হিসেবে কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন। ওই ঘরে থাকে আটজন।

বড়হাট এলাকার বাড়ির ভাড়াটে সম্পর্কে জুয়েল জানান, ওই বাড়ির ভাড়াটে নিজের নাম বলেছেন বেলাল। নিজেকে একটি কম্পানির ম্যানেজার পরিচয় দিয়েছেন।

নাসিরপুরের স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানিয়েছেন, বাড়ির মালিক সাইফুল ইসলাম ভোরে (গতকাল) গ্রামের নান্নু মিয়া চৌধুরী নামে একজনের মোবাইলে ফোন করে নাসিরপুরের বাড়িতে গিয়ে ভাড়াটেকে ডাকতে বলেন। ফোন পেয়ে নান্নুসহ পাঁচ-ছয়জন ওই বাড়িতে যান। তাঁদের সঙ্গে পুলিশও ছিল। ভাড়াটের ঘরে কলিং বেল দিলে ভেতর থেকে একজন দরজা খোলেন। পুলিশ দেখে তিনি সঙ্গে সঙ্গে দরজা বন্ধ করে দেন। একটু পরে ঘরের ভেতরে হাতুড়ি পেটানোর মতো শব্দ হয়। এরপর পুলিশ উপস্থিত সবাইকে সরে যেতে বলে। একটু পরে ওই বাড়ি থেকে প্রচণ্ড শব্দ শোনা যায়। এ ঘটনার সময় ওই বাড়ি থেকে সাইফুল ইসলামের মামাতো বোন ও রিকশাচালকের পরিবার সরে যায়।

নাসিরপুরের স্থানীয় লোকজন জানিয়েছে, ভোর থেকে থেমে থেমে বেশ কয়েকবার গুলির শব্দ শোনা গেছে। বিস্ফোরণের মতো শব্দও পাওয়া গেছে।

পুলিশ সূত্র জানায়, গতকাল সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে পুলিশ বড়হাট এলাকায় ঘেরাও করে রাখা বাসার দিকে দুটি গুলি ছোড়ে। ভেতর থেকেও পাল্টা গুলি করে জঙ্গিরা। পরে সারা দিন ধরে বিভিন্ন সময় পুলিশ গুলি ছোড়লেও বাড়ির ভেতর থেকে আর কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

জঙ্গি আস্তানার খোঁজ মেলার পর জেলা প্রশাসন গতকাল বড়হাট ও সংশ্লিষ্ট কুসুমবাগ এলাকা এবং খলিলপুর ইউপি কার্যালয় থেকে পূর্ব দিকে দুই কিলোমিটার এলাকায় (নাসিরপুর গ্রামসহ) ১৪৪ ধারা জারি করেছে। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে নাসিরপুরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে মাইকিং করতে দেখা যায়। তাতে জঙ্গি আস্তানার আশপাশ থেকে লোকজনকে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করতে বলা হয়।

মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মো. তোফায়েল ইসলাম জানান, বুধবার দুপুর ২টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উল্লিখিত এলাকায় ১৪৪ ধারা বলবৎ থাকবে।

উত্সুক লোকজন ঠেকাতে সংশ্লিষ্ট এলাকার বিভিন্ন রাস্তার মুখে ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। সাংবাদিকদেরও ঘটনাস্থল থেকে এক কিলোমিটার দূরে অবস্থান করতে হয়। অভিযানের অংশ হিসেবে ওই দুই এলাকার আশপাশে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে।

অভিযান তদারকিতে আসা সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি কামরুল আহসান বলেন, ‘আমরা এখনই কিছু বলছি না। অপেক্ষা করুন, সব একসঙ্গে বলব। ’

কুমিল্লায় জঙ্গি আস্তানা : পুলিশ বলছে, সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন স্থানে জঙ্গি আস্তানায় অভিযানে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই তারা কুমিল্লার বাড়িটির সন্ধান পেয়েছে। কুমিল্লার এসপি শাহ মো. আবিদ হোসেন জানান, গতকাল দুপুরে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সদস্যরা গন্ধমতি বড় কবরস্থানের পশ্চিম পাশের বাড়িটি ঘিরে ফেলেন।

তিনতলা বাড়িটির মালিকের নাম দেলোয়ার হোসেন। পেশায় তিনি মাইক্রোবাসচালক। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। সূত্র জানায়, গতকাল বিকেলে ওই বাড়িতে ভাড়া থাকা ১২-১৪ জন ছাত্রের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু কাপড় ব্যবসায়ী পরিচয়ে ভাড়া নেওয়া একটি ফ্ল্যাটে দুজন আছে—এমন সন্দেহে সেখানে তালা দিয়ে দেওয়া হয়।

বাড়ির মালিকের বাবা আহাম্মদ আলী বলেন, ‘বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা একটি ইউনিটে তালা মেরে দেয়। মাস দেড়েক হবে ওই ইউনিটটি ভাড়া দেওয়া হয়ে থাকতে পারে। এ সম্পর্কে আমি কিছু জানি না। আমার ছেলে বিস্তারিত বলতে পারবে। ’

দেলোয়ার হোসেনের ভাই সাদ্দাম হোসেন জানান, যে ফ্ল্যাটে তালা দেওয়া হয়েছে সে ফ্ল্যাটে তাঁর ভাই থাকেন। তিনিও সেখানে থাকেন। তালা দেওয়া ফ্ল্যাটে ছাত্ররাও থাকত। তারা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ও পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের ছাত্র। পলিটেকনিক্যালের ছাত্রই বেশি। নিচতলায় ও দোতলায় তারা থাকত।

জঙ্গি আস্তানার খবর পেয়ে গতকাল পুলিশ সুপার শাহ মো. আবিদ হোসেনসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, র‌্যাব-১১-এর অধিনায়ক কামরুল ইসলাম, র‌্যাব-১১-এর সিপিসি টু-এর অধিনায়ক মেজর মোস্তফা কায়সারসহ বিপুল সংখ্যক র‌্যাব পুলিশ সদস্য সেখানে যান। রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঘটনাস্থলে যান চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি সফিকুল ইসলাম ও অতিরিক্ত ডিআইজি সাখাওয়াত হোসেন।

ঘটনাস্থলে চলাচলে ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করে সেখান থেকে সাংবাদিক ও সাধারণ মানুষকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আশপাশের বাড়ি থেকেও লোকজনকে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, জঙ্গি আস্তানার খোঁজ পাওয়ায় সিলেটের দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ী এলাকার পাঁচতলা বাড়ি আতিয়া মহল গত ২৩ মার্চ রাত থেকে ঘিরে রাখে পুলিশ। পরদিন ঢাকা থেকে সোয়াট সিলেটে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে যোগ দেয়। ওই দিন সন্ধ্যায় সেনাবাহিনীর প্যারাকমান্ডোরাও ঘটনাস্থলে যান। ২৫ মার্চ সকালে সেখানে প্যারাকমান্ডোদল ‘অপারেশন টোয়াইলাইট’ নামের অভিযান শুরু করে। তারা বাড়ির ভেতরে আটকে পড়া ৭৮ জনকে উদ্ধার করে আনে। অভিযানের বিষয়ে ওই দিন সন্ধ্যায় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ব্রিফিং করার পরপরই ঘটনাস্থলের কাছে পাঠানপাড়ায় দুই দফা বিস্ফোরণ ঘটে। এতে দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ ছয়জন নিহত হয়। ১১১ ঘণ্টার অভিযান শেষ হয় গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায়। অভিযানে আতিয়া মহলে এক নারীসহ চার জঙ্গি মারা পড়েছে বলে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। তাদের মধ্যে নব্য জেএমবির শীর্ষ জঙ্গি মাঈনুল ইসলাম মুসাও রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এর আগে গত ১৫ মার্চ বিকেলে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের দুটি বাড়ি ঘেরাও করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। পরে অভিযানে একটি বাড়িতে চার জঙ্গি মারা যায়। এ সময় এক শিশুর লাশও উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া বিস্ফোরকসহ এক দম্পতিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সূত্র ও ছবি: কালেরকণ্ঠ।