Wed. Apr 30th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

7kখােলা বাজার২৪।। শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০১৭: বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুব রহমান হাবিব বলেন, কুমিল্লা নোয়াখালীর নির্বাচন শুধু নয়, বর্তমান সরকারের আমলে মিথ্যাচার, অত্যাচার, ব্যাংক লুট থেকে শুরু করে সব কিছু দেখতে দেখতে দেশের মানুষের মধ্যে এই সরকারের বিরুদ্ধে ঘৃণা জন্ম নিয়েছে। সেজন্য শুধু কুমিল্লা নয় সারা দেশে বিএনপির প্রতি মানুষের একটা ভক্তি জন্মেছে। সেখান থেকে আজ সরকার যদি নিরপেক্ষভাবে একটা নির্বাচন দেয় তাহলে ফরিদপুর ছাড়া দেশের আর কোথাও আসন পাবে না।
মাহমুদুল হাসানের সঞ্চালনায় এটিএন নিউজের নিয়মিত অনুষ্ঠান নিউজ আওয়ার এক্সট্রায় ‘নির্বাচনের রাজনীতি’ বিষয়ক আলোচনায় তিনি একথা বলেন। এছাড়া ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট রিয়াজুল কবির কাওসার।
হাবিবুব রহমান হাবিব বলেন, কুমিল্লার নির্বাচন সাক্কু আর সীমার লড়াই না, কারণ রাজনৈতিকভাবে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের মত মূল্যায়ণ করলে হবে না। আজকে কুমিল্লা নির্বাচনে যে বিষয়টি সামনে আসছে তা হলো জয়-পরাজয়ের ব্যাপার। যখন স্বৈরাচার এরশাদ ক্ষমতায় ছিলো তখন আওয়ামী লীগ ও বিএনপি স্থানীয় সরকার নির্বাচনে গিয়েছে। এটা বুদ্ধিজীবিরা মাঠে না গিয়ে গুলিয়ে ফেলে। তারপরে উপজেলা নির্বাচনেও বিএনপি অংশ নিয়েছিলো। সুতরাং স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচন দুটোর গুরুত্ব দুই রকম। আমরা জাতীয় নির্বাচনে যাচ্ছি না কারণ আমাদের একটা দাবি দিলো। তত্ত্বাবধায়ক সরকার না থাকায় আমরা জাতীয় নির্বাচনে যাইনি। ২৭৩ দিন হরতাল দিয়েছি। একটাই দাবি ছিলো নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন। সরকার সেটা করে নাই।
কিন্তু কথা হলো, স্থানীয় নির্বাচন দিয়ে জাতীয় নির্বাচনের বিচার করলে হবে না। কুমিল্লার নির্বাচনটা মন্দের ভালো ছিলো বলা যায়।
সরকার চাইলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিল সংসদে এনে তার ব্যবস্থা করতে পারে। তাদের সেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে। একটা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সরকার চাইলে এটা করতে পারে। কিন্তু তারা এটা করবে না কারণ তাতে তাদের জনপ্রিয়তা যে নেই তা প্রমাণ হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে সাক্কুর জয় হয়েছে তার নিজের একটা ব্যক্তিগত ইমেজের কারণে। কারণ তার পরিবার জনগণের কাছে গেছে ভোট চাইতে। আর দেখেন সীমার ক্ষেত্রে তার স্বামী, ভাইরা বা বাবা সে রাজনীতি করে। কেউ সীমার জন্য ভোট চাইতে যায়নি।