খােলা বাজার২৪।। শনিবার, ১ এপ্রিল ২০১৭: কুমিল্লার লাকসাম উপজেলায় ৩য় শ্রেণির (৭)এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ ঘিরে এলাকায় তোলপাড় চলছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ৩নং কান্দিরপাড় ইউনিয়নের চুনাতি গ্রামের পাশ্ববর্তী মাছের বেড়ীবাঁধ এলাকায়। গতকাল ওই শিশু ছাত্রীকে মূমূর্ষ অবস্থায় লাকসাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করার পর ডাক্তাররা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আশংকাজনক অবস্থায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। ওই শিশু ছাত্রীর পিতা রুস্তুম আলী বাদী হয়ে লাকসাম থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে।
ধর্ষিতা ওই শিশুটি মনোহরপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণির ছাত্রী (৭) ওইদিন স্কুল ছুটির পর বাড়ীতে ফেরার পথে সন্ধ্যার পর পাশ্ববর্তী এলাকা রনোঁচৌ গ্রামের ২ সন্তানের জনক এমতাজ মিয়া (৩৮) নামে এক যুবক বিভিন্ন প্রলোভনে ওই ছাত্রীকে মাছের বেড়ীবাঁধ এলাকার নির্জ্জনস্থানে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে অচেতন অবস্থায় ফেলে রেখে ধর্ষক এমতাজ মিয়া পালিয়ে যায়।
সন্ধ্যার পরও বাড়ীতে না আসার কারনে তার আত্মীয় স্বজনরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজ নিতে থাকে। অবশেষে বাড়ীর পাশের জনৈক ব্যাক্তির মাছের ঘের এলাকার নির্জ্জন স্থানে ওই স্কুল ছাত্রীকে অচেতন অবস্থা দেখতে পেয়ে তাৎক্ষনিক সরকারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। ডাক্তাররা প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর আশংকাজনক অবস্থায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
এ ব্যাপারে স্থাণীয় ওয়ার্ড মেম্বার সাইফুল ইসলাম চৌধুরী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন ওই ছাত্রী বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে এবং ধর্ষক এমতাজ পলাতক। ছাত্রীর পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এ বিষয়ে লাকসাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মাহফুজ বলেন স্কুল ছাত্রী ধর্ষনের ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অপরাধীকে গ্রেপ্তারের পুলিশের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।