Thu. Mar 13th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলা বাজার২৪।। সোমবার, ৩ এপ্রিল ২০১৭: শরীয়তপুর পৌর এলাকায় জমিজমা বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের লোকেরা পুকুরের ৫ লাখ টাকার মাছ লুট করে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় উভয় গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। মাছ লুট করে নেয়ার পর মামলা না করার জন্য হুমকি দিচ্ছে বলে জানিয়েছে পুকুর মালিকরা। এ ঘটনায় মামলা করতে সাহস পাচ্ছেনা ক্ষতিগ্রস্থরা। প্রতিপক্ষ মাছ লুটের কথা অস্বীকার করেছে। পুলিশ বলছে থানায় কেউ কোন অভিযোগ নিয়ে আসেনি।

মোহাম্ম আলী ভেন্ডার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শরীয়তপুর পৌর এলাকার দক্ষিন বালুচরা গ্রামে সৈয়দ আহম্মেদ সরদার ও মৃত হাচেন আলী ভেন্ডারের ছেলে মোহাম্ম আলী ভেন্ডারদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে একাধিক বার মারামারি ও মামলা মোকদ্দমা হয়। স্থানীয় ভাবে পৌর কাউন্সিলর ও গন্যমান্য ব্যক্তিরা একাধিকবার উভয় পক্ষকে নিয়ে শালিস দরবার করে ব্যর্থ হয়। এ বিরোধের জের ধরে সৈয়দ আহম্ম সরদারের পূত্র কিংডম বিল্ডার্সয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুসরাত হোসেন লিটন এর নির্দেশে সৈয়দ আহম্মদের জামাই সাইফুদ্দিন কাজী ১০/১২ জন সন্ত্রাসীদের নিয়ে সোমবার সকালে ৫৭ নং দক্ষিন বালুচরা মৌজার ২৯৩ নং খতিয়ানের ৩৫০.৩৫১, নং দাগে মোহাম্মদ আলী সরদার ওরফে আলী ভেন্ডারের মা রিজিয়া বেগমের নামে রেকর্ডভুক্ত পুকুর থেকে জোর পূর্বক পানি সেচের মেশিন দিয়ে পানি সেচ করে রুই,কাতলা , মৃগল সহ চাষ করা নানা প্রজাতির প্রায় ৫ লাখ টাকার মাছ লুট করে নিয়ে যায়। পুকুরের মালিক রিজিয়া বেগমের ছেলে মোহাম্মদ আলী , সোলায়মান ,সহ অন্যান্য ছেলেরা বাধা দিলে তাদেরকে তাড়া করে মাছ নিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে পুকুরের মালিকগন বিভিন্ন শালিস ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দ্বারে দ্বারে গিয়ে ও কোন সুফল পায়নি। তারা সৈয়দ আহম্মদ সরদারের ছেলে কিংডম বিল্ডার্সয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুসরাত হোসেন লিটন কে ভয় পায়। জমিজমা বিরোধের শুরু থেকেই নানা সময় লোকজন দিয়ে পুকুরের মালিকদেরকে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে আসছে। এ কারনে পুকুরের মালিকগন কোথাও মামলা করতে সাহস পাচ্ছেনা। তারা জীবনের ভয়ে আতংকে রয়েছে। কারন ইতোপূর্বে সৈয়দ আহম্মদ সরদারের ছেলে কিংডম বিল্ডার্সয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুসরাত হোসেন লিটনকে আসামী করে শরীযতপুর আদালতে মামলা করার পর হুমকির মুখে বাদী মামলা তুলে নিতে বাধ্য হয়েছে। এখনো লিটন পুকুর মালিকদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে যাতে তারা মামলা না করে। এমতবস্থায় পুকুরের মালিক গন প্রশাসনের উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

এ ব্যাপারে রিজিয়া বেগমের ছেলে সোলায়মান সরদার বলেন, আমার মা রিজিয়া বেগমের নামের রেকর্ডভুক্ত পুকুরের প্রায় ৫ লাখ টাকার মাছ সৈয়দ আহম্মদ সরদারের ছেলে কিংডম বিল্ডার্সয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুসরাত হোসেন লিটনের নির্দেশে লিটনের ভগ্নিপতি সাইফুদ্দি কাজী সহ কতিপয় সন্ত্রাসীরা।

সৈয়দ আহম্মদ সরদারের ছেলে কিংডম বিল্ডার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুসরাত হোসেন লিটন বলেন, আমি ঢাকায় । পুকুরের মাছ আমি ধরে নেইনি। বিরোধীয় জমিজমা নিয়ে স্থানীয় যে সকল শালিস গন আমাদের উভয় পক্ষকে মীমাংসা করে দিয়েছে তারা সকলে মিলে পুকুর সেচ করে মাছ ধরে বিক্রি করে টাকা জমা রেখেছে। গত বছর আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা করে । পরে তারা নিজেরাই সে মামলা তুলে নিয়েছে।

পালং মডেল থানার ওসি মোঃ খলিলুর রহমান বলেন, এ ঘটনার ব্যাপারে আমি কিছুই জানিনা। এ ব্যাপারে কেউ পালং থানায় অভিযোগ নিয়ে ও আাসেনি।