খােলা বাজার২৪।। সোমবার, ৩ এপ্রিল ২০১৭: শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উথফলে একটি ব্রীজই যেন ইউনিয়ন দুটিকে পৃথক করে রেখেছে। সেখানে একটি ব্রীজ নির্মাণ হলেই পাল্টে যাবে দুই ইউনিয়নের চিত্র। এলাকাটি হচ্ছে শেরপুরের সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার সদর ইউনিয়ন ও গৌরীপুর ইউনিয়নের সীমান্তে দিঘীরপাড়, চতল ও বনগাঁও চতল গ্রামের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কাটাদার খাল। দুই ইউনিয়নের সীমান্তে হওয়ার কারণে কোন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পক্ষে থেকে এ পর্যন্ত কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। যে জন্য অত্র ইউনিয়নের সীমান্তে ১০টি গ্রামের লোকজনের যাতায়াতে চরম ভোগান্তিতে রয়েছে। অত্রাঞ্চলের কৃষকদের উৎপাদিত কৃষিজাতপণ্য বাজারজাত করার জন্য দিগুন অর্থ ও বাড়তি সময় লাগে। প্রায় দিগুন রাস্তা বনগাঁও বাজার হয়ে ঝিনাইগাতী উপজেলা সদর বাজারে যেতে হয়। এতে ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে অত্রাঞ্চলের কৃষকগণ। কোমলমতি স্কুলের ছাত্র/ছাত্রীরা এই বাঁশের সাকো পারাপার করতে গিয়ে প্রায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। যদি কর্তৃপক্ষ উক্ত উভয় সীমান্তের মাঝে ব্রীজটি নির্মাণ করে দিত, তাহলে স্কুল ছাত্র/ছাত্রীদের দূর্ঘটনা ও কৃষকের কৃষিপন্য সহজেই বাজারজাত করা যেত। এতে সময় ও অর্থ দু’টোই বাঁচতো। এলাকাবাসীদের অভিযোগ, দুই ইউনিয়নের সীমান্তে খালটি হওয়ার কারণে নির্বাচনের সময় জনপ্রতিনিধিরা ব্রীজ নির্মাণের আশ্বাস দিয়ে শুধু ভাট নিয়ে নির্বাচিত হয়। কিন্তু নির্বাচন পেরিয়ে গেলে পরবর্তীতে তারা আর আমাদের কোন খোঁজ খবর নেন না। এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বাদশা বলেন, কাটাদার খালের উপর ব্রীজ নির্মাণ করতে হলে অনেক অর্থের প্রয়োজন। সেখানে ব্রীজ নির্মাণ করতে হলে স্থানীয় এমপি মহোদয়ের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। তবে সেখানে ব্রীজ নির্মাণের জন্য উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগীতা করা হবে। স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব প্রকৌশলী এ.কে.এম ফজলুল হক কাটাদার খালের উপর ব্রীজ নির্মাণের বিষয়টি দেখবেন বলে জানান।
এলাকাবাসীর চিরদিনের দুঃখ লাঘবের জন্য কাটাদার খালের উপর ব্রীজ নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবী জানিয়েছেন।