খােলা বাজার২৪।। বুধবার, ৫ এপ্রিল ২০১৭: নোয়াখালীর উপকূলীয় অঞ্চল সুবর্ণচর উপজেলার লবণাক্ত জমিতে বাড়ছে সূর্যমুখী’র চাষ। স্বল্প খরচে বাম্পার ফলনে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। মূলত লবণ সহিঞ্চু এ ভোজ্য ফসল আবাদে দিনদিন আগ্রহ বাড়ছে চাষিদের।
জেলা কৃষি বিভাগ বলছে, এতে অনাবাদী জমির পরিমাণ কমার পাশাপাশি পূরণ হবে স্থানীয় সূর্যমুখী তেলের চাহিদা।
এ চরে মাঠের পর মাঠ ছেয়ে আছে হলুদের আভায়। যে দিকে চোখ যায় সেদিকে হলুদের ছড়াছড়ি। চোখ জুড়ানো মনোমুগ্ধকর এক অপরূপ সৌন্দর্য। রাস্তার দু’পাশের মাঠের দিকে তাকালে চোখ জুড়িয়ে যায় ভোজ্য ফসল সূর্যমুখীর বাহারি শোভায়।
ফুলের মাঠে মৌমাছি, পাখির আনাগোনাও দেখা গেছে বেশ। কখনো উষ্ণ আবার কখনো নির্মল বাতাসে দোল খাওয়া সূর্যমুখীর হাসিও চোখে পড়বে। জেলার সূবর্ণচর উপজেলায় গত বছরের পর এবারো বাম্পার ফলন হয়েছে।
কৃষকরা জানান, স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শে দীর্ঘদিন ধরে পতিত থাকা ২৫ একর জমিতে গতবছরই প্রথম সূর্যমুখীর চাষ করে গ্লোব কৃষি খামার। লবণাক্ত জমিতে, অল্প পরিশ্রম ও খরচে ভালো ফলন পাওয়ায়, এতে আগ্রহ বেড়েছে অনেকের। তাই এবার স্থানীয় অনেক কৃষক বাণিজ্যিকভাবে সূর্যমুখী চাষ করেছেন।
রবি মৌসুমে চরের পতিত জমিতে সূর্যমুখীর চাষ বাড়াতে কৃষক ও উদ্যোক্তাদের পৃষ্ঠপোষকতা দেয়া হচ্ছে বলে জানান নোয়াখালী কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ প্রণব ভট্টাচার্য।
জেলা কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, গত বছর ২৫ একর জমিতে সূর্যমুখীর চাষ হলেও এবার হয়েছে দু’শো একর জমিতে। আর প্রতিবছর, রবি মৌসুমে এ চরের অন্তত ১০ হাজার তিনশ হেক্টর জমি অনাবাদী থাকে।