আমার আব্বুকে পৈশাশিক কায়দায় হত্যা করা হয়েছে। আব্বুকে হত্যার ঘটনাটি চারটি বছর পার হতে চলেছে। কিন্তু খুনিরা প্রকাশ্যে।
এইসব খুনিরা আব্বু মেরে খুনিরা আমাকেও মারতে চায়! আমি স্বাভাবিক ভাবে চলাফেরা ও স্কুলে যেতে পারছি না।
বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টায় কক্সবাজার শহরের একটি হোটেলে নিহত মৎস্য ব্যবসায়ি আহমদ কামালের পরিবারের পক্ষ থেকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলণে শহরের শহীদ তিতুমীর ইনষ্টিটিউটের ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী ও কক্সবাজার শহরের পশ্চিম টেকপাড়ার বাসিন্দা নিহত মৎস্য ব্যবসায়ি আহমদ কামালের একমাত্র মেয়ে মিম্ময় ইসফাত মুমু এসব কথা বলেন।
পিতৃ ও আতৃহীন এতিম মিম্ময় ইসফাত মুমু আরো বলেন, গত ২০১৩ সালের ২০ এপ্রিল রাত সাড়ে ১০টায় আমার আব্বুকে শহরের পেশকারপাড়া, টেকপাড়া ও ফুলবাগ সড়কের সন্ত্রাসীরা নির্মমভাবে হত্যা করেন। আমার আব্বু ছিলেন মৎস্য ব্যবসায়ি। ব্যবসা করেই জীবিকা নির্বাহ করে আসছি।
এঘটনায় ৭ জন চিহ্নিত খুনিকে আসামী করে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা নং-৬২,তাং-২১/০৪/২০১৩ দায়ের করা হয়। পুলিশ যথারীতি আসামী আবদুল মোনাফ, হাবীব উল্লাহ,সেলিম, রুবেল, এমরান, মোঃ রফিক ও ইসহাক আজাদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জসীট দাখিল করেন।
পরিবারের দাবী এসব খুনিদের বিরুদ্ধে আদালত থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হলেও অজ্ঞাত কারণে আসামীরা গ্রেফতার হয়নি।
তারা বলেন, ৪ বছরের মাথায় গত ১ এপ্রিল কক্সবাজার থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে আবদুল মোনাফকে গ্রেফতার করে। এই মোনাফ বর্তমানে কারান্তরিন। এঘটনার পর অন্যান্য খুনিরা প্রকাশ্যে আরো বেপরোয়া হয়ে পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন ভাবে মামলা প্রত্যাহারের জন্য হুমকি অব্যাহত রেখেছে।
এসময় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন, কন্যা মিম্ময় ইসফাত মুমু, নিহতের বোন রৌশন আরা। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিহতের ভাই আবদু জলিল।
নিহত মৎস্য ব্যবসায়ির কন্যা মিম্ময় ইসফাত মুমু কান্না জড়িত কন্ঠে একটাই দাবী করেন, আব্বুকে মেরে খুনিরা আমাকেও মারতে চায়! আমি স্কুলে যেতে পারছিনা। আমি স্বাভাবিক ভাবে পড়ালেখা চালিয়ে যেতে চাই। আমাদেও নিরাপত্তা দিন। খুনিদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তুমুলক শাস্তি দিন।
এর আগে সকালে খুনিদের গ্রেফতার ও পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার দাবী নিয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে সামনে মানববন্ধ শেষে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর স্মারকলিখি দেয়া হয়।