খােলা বাজার২৪।। বুধবার, ৫ এপ্রিল ২০১৭: যখন সারা দেশের ন্যায় দক্ষিণ সুনামগঞ্জের সব হাওরের ফসল তলিয়ে যাচ্ছে,ঠিক তখনি কোন কারণ ছাড়া লাগামহীন ভাবে বাড়ছে চাল ও আটার দাম। ভ্রাম্যমান আদালত উপজেলার নোয়াখালী বাজারে অভিযান চালিয়ে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। দুই তিন দিনের ব্যবধানে উপজেলা শহর ও গ্রামীণ বাজারে চাল ও আটার মূল্য হু হু করে বেড়ে গেছে । বস্তা প্রতি চালের দাম ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, আঠার দাম ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। সাথে সাথে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রীর দাম ও বাড়ছে। বাজারে চালের আমদানি কম ও খোলা বাজারে চাল না থকায় মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে মিল মালিক ও কোচরা বিক্রেতারা কারণ দেখালেও এ অজুহাত মানতে নারাজ সাধারণ কৃষক ও ক্রেতারা । বন্যার পানিতে হাওরের ফসল তলিয়ে যাওয়ার অধিক লাভের আশায় কোন কারণ ছাড়াই ব্যবসায়িরা চাল ও আটার মূল্য বৃদ্ধি করছেন বলে দাবী তাদের । চাল ও আটার এমন আকস্মিক মূল্য বৃদ্দিতে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন বিভিন্ন মহলের মানুষ । চালের এমন উর্ধগতিতে বিপাকে পড়েছেন কৃষক সহ খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। এখনি চালের দামের মূল্য নিয়ন্ত্রণ না করলে দৃর্ভোগ চরমে উঠতে পারে বলে আশংকা তাদের। তবে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে বুধবার দিনব্যাপী উপজেলার শান্তিগঞ্জ বাজার, ডুংরিয়া বাজার, পাগলা বাজার, নোয়াখালী বাজার, পাথারিয়া বাজার,মিনবাজার বাজার সহ বিভিন্ন বাজারে ভ্রাম্যমান আদালত করেছেন দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আলমগীর কবীর। তিনি কোন কোন দোকানের সামনে দাড়িয়ে থেকে চালের দাম ২২০০ টাকা ও আটার দাম ১১৫০ টাকা নির্ধারণ করে সাধারণ কৃষক ও জনতাকে চাল ও আটা ক্রয় করার সুযোগ করে দিয়েছেন। এ ব্যাপারে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলমগীর কবির জানান: চাল ও আটা সহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য যাতে ব্যবসায়ীরা বেশি নিতে না পারে এজন্য উপজেলার অধিকাংশ বাজারে ভ্রাম্যমান আদালত করেছি এবং তা প্রতিদিনই অব্যাহত থাকবে।