Thu. May 1st, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

80খােলা বাজার২৪।। বুধবার, ৫ এপ্রিল ২০১৭: দু’মাস আগে ইরাকের মসুল থেকে পালিয়েছেন আইসিস (আইএস) নেতা ও স্বঘোষিত খলিফা আবু বকর আল বাগদাদি। ওই সময় সরকারি সেনাদের হামলার জবাবে আইসিস জঙ্গিরা তীব্র আক্রমণ চালায়। ফলে অল্প সময়ের জন্য তারা উন্মুক্ত করে ফেলে পশ্চিমমুখী সড়ক। এ সময়েই আত্মঘাতী বোমা সহ ১৭টি গাড়ি তাকে নিরাপদে শহর থেকে বের করে দেয়। লন্ডনের অনলাইন দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট এ খবর দিয়েছে।
কুর্দি প্রেসিডেন্ট মাসুদ বারজানির চিফ অব স্টাফ ফুয়াদ হোসেন এক সাক্ষাতকারে এসব কথা বলেছেন দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্টকে। তিনি বলেছেন, তিনি ও কুর্দি অন্য নেতারা বিশ্বাস করেন বাগদাদিকে বের করে দেয়ার ক্ষেত্র তৈরিতে যে তীব্র আক্রমণ চালানো হয়েছিল তার শুধু আইসিসই করেছে। ওই হামলায় বিপুল সংখ্যক মানুষ হতাহত হন। তার মতে, পূর্ব মসুলের পতনের পর ইরাকের নিরাপত্তা রক্ষাকারীরা ১৯শে ফেব্রুয়ারি মসুলের পশ্চিমে আইসিসের শক্ত ঘাঁটিতে চূড়ান্ত হামলা চালায়। এর পূর্ব মুহূর্তে পালিয়ে যায় আবু বকর আল বাগদাদি।

ফুয়াদ হোসেন আরো বলেছেন, এ হামলা চালানোর জন্য সিরিয়া থেকে ৩০০ জঙ্গিকে মসুলে নিয়ে যায় আইসিস। তারপর তারা তীব্র আক্রমণ শুরু করে। তারপর পালিয়ে যায় বাগদাদি। তার পালানোর সম্ভাব্য একমাত্র রুট হলো মসুলের পশ্চিমদিক। ওই এলাকাটির নিয়ন্ত্রণ রয়েছে হাশদ আল শাবি শিয়া জঙ্গিদের হাতে। তারাই আইসিসকে তাদের সড়কের নিয়ন্ত্রণ নিতে সহায়তা করেছিল। ফুয়াদ হোসেন বলেন, আমি বিশ্বাস করি তারাই বাগদাদিতে মুক্ত করে দিয়েছে। তিনি মনে করেন এ অভিযান পরিচালিত হওয়ার পরই সিরিয়া থেকে মিশনে অংশ নেয়া আইসিস সদস্যরা ফিরে যায় সিরিায়।
আইসিসের রেডিও ট্রাফিক পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, তারা সফল এ অভিযানকে উদযাপন করেছে। উল্লেখ্য, আবু বকর আল বাগদাদি ২০১০ সালে আইসিসের নেতায় পরিণত হয়। ২০১৪ সালে মসুল দখল সহ অনেক অভিযানে সফল মিশনের নেতৃত্ব দেয় সে। ফুয়াদ হোসেন বিশ্বাস করেন, তাদের হাত থেকে মসুলের পতনের পরও সেখানে টিকে থাকবে আইসিস। এখনও এ শহরের ওল্ড সিটি’তে তাদের ঘাঁটি রয়েছে। জাতিসংঘের হিসাবে, এ অঞ্চলে রয়েছেন ৪ লাখের মতো মানুষ। ওই অঞ্চলে আইসিস টিকে থাকলেও তারা একটি কাঠামো নিয়ে থাকতে পারবে না বলে মনে করেন ফুয়াত হোসেন। তার সন্দেহ এমন অবস্থায় আইসিস গোরিলা অপারেশনে চলে যেতে পারে। ওদিকে ইরাকে সমস্যার শেষ নেই।
মসুলে আইসিসের পতন ঘটতে সেখানে ক্ষমতা ভাগাভাগি নিয়ে কোনো রাজনৈতিক পরিকল্পনা নেই। পরিকল্পনা নেই আইসিসের পরাজয়ের ফলে ফিরে পাওয়া অঞ্চল কে পরিচালনা করবে। এমন অবস্থায় মঙ্গলবার ইরাকের ইরবিলে পৌঁছার কথা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের জামাই, তার সিনিয়র উপদেষ্টা জারেড কুশনারের। সেখানে তিনি প্রত্যক্ষ করবেন আইসিস বিরোধী অভিযান।
এর আগে সোমবার তিনি রাজধানী বাগদাদে পৌঁছেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ জেনারেল জোসেফ ডানফোর্ড। সেখানে সাক্ষাত হয় ইরাকি প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল আবাদির সঙ্গে। কুশনার একবার ইরবিলে পৌঁছালে সেখানে রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবেন বলে বলা হয়েছে।