খােলা বাজার২৪।। বৃহস্পতিবার, ৬ এপ্রিল ২০১৭: ২০১৬-১৭ অর্থবছরের মার্চ মাসে পণ্য রপ্তানিতে মোট আয় হয়েছে ৩১০ কোটি ৯৭ লাখ ৬০ হাজার ডলার বা ২৪ হাজার ৮৯৭ কোটি ৪১ লাখ টাকা; যা এ সময়ের রপ্তানি আয় লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ১.৮৯ শতাংশ বেশি। সদ্যসমাপ্ত মাসে ৩০৫ কোটি ২০ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের মার্চ মাসে পণ্য রপ্তানিতে মোট আয় হয়েছিল ২৮৩ কোটি ১৪ লাখ ২০ হাজার ডলার।
বুধবার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশিত রপ্তানি পরিসংখ্যানে দেখা যায়, অর্থবছরের ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আয় কম হয়েছে ৪.৩ শতাংশ। রপ্তানির প্রধান খাত তৈরি পোশাকও পিছিয়ে পড়েছে। এই সময়ের মধ্যে ওভেনে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আয় কমেছে ৯.২০ শতাংশ, নিটওয়্যার খাতে কমেছে ২.৩ শতাংশ।
ইপিবি সূত্রে জানা যায়, অর্থবছরের ৯ মাসে মোট আয় হয়েছে ২ হাজার ৫৯৪ কোটি ৬০ লাখ ডলার। এই অঙ্ক গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৩.৯৭ শতাংশ বেশি। এই ৯ মাসে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪.৩ শতাংশ আয় কম এসেছে। তবে একক মাস হিসেবে মার্চে গত বছরের মার্চের চেয়ে প্রায় ১০ শতাংশ আয় বেশি হয়েছে। এই মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আয় বেড়েছে ২ শতাংশ। ফেব্রুয়ারি মাসে গত বছরের একই সময়ের চেয়ে সাড়ে ৪ শতাংশ রপ্তানি আয় কম এসেছিল। ওই মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আয় কমেছিল ১০ শতাংশ।
ইপিবির রপ্তানি আয়ের হালনাগাদ তথ্যে দেখা যায়, চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে মোট রপ্তানি আয়ের মধ্যে দুই হাজার ৯২ কোটি ৮৮ লাখ (২০.৯২ বিলিয়ন) ডলারই এসেছে তৈরি পোশাক রপ্তানি থেকে। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২.৪ শতাংশ। এর মধ্যে নিট খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪.৮৫ শতাংশ। ওভেনে প্রবৃদ্ধির পরিমাণ মাত্র দশমিক ১৮ শতাংশ।
তৈরি পোশাক খাতের নিটওয়্যার এবং ওভেন থেকে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬ শতাংশ আয় কম এসেছে। মোট রপ্তানির প্রায় ৮২ শতাংশই এসেছে তৈরি পোশাক থেকে। গত অর্থবছরের এই ৯ মাসে পোশাক রপ্তানি থেকে ২ হাজার ৪৪ কোটি (২০.৪৪ বিলিয়ন) ডলার আয় হয়েছিল।
হালনাগাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে সব ধরনের পণ্য রপ্তানিতে বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়েছিল মোট ৩ হাজার ৪২৫ কোটি ৭১ লাখ ৮০ হাজার ডলার। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ হাজার ৭০০ কোটি ডলার।
চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে রপ্তানি আয় লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ২ হাজার ৭১১ কোটি ১০ লাখ ডলার। এর বিপরীতে তৃতীয় প্রান্তিকে আয় হয়েছে ২ হাজার ৫৯৪ কোটি ৬০ লাখ ২০ হাজার ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪.৩০ শতাংশ কম।