Wed. Apr 30th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

images

খােলা বাজার২৪।। বৃহস্পতিবার, ৬ এপ্রিল ২০১৭: আগামী ৯ এপ্রিল জাতীয় প্রেস ক্লাবের আজীবন সদস্য, বিশিষ্ট কলামিস্ট ও সাংবাদিক এবিএম মূসা’র তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী। এ উপলক্ষে আগামী রোববার (৯ এপ্রিল ২০১৭) বাদ মাগরিব, মরহুমের বাসস্থান, সুবাস্তু রিমঝিম ৫/২ ইকবাল রোড, মোহাম্মদপুর, ঢাকায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে । উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের এই দিনে এবিএম মূসা বার্ধক্যজনিত কারণে ল্যাডএইড হাসপাতালে মৃত্যুববরণ করেন।

পরিবারের পক্ষ থেকে মরহুমের আত্মীয়-স্বজন সতীর্থ ও শুভাঙ্খীদের উক্ত দোয়া মাহফিলে অংশ গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।

জাতীয় প্রেসক্লাবের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং ক্লাবের আজীবন সদস্য এবিএম মূসা ১৯৩১ সালে তার নানার বাড়ি ফেনী জেলার ধর্মপুর গ্রামে জন্ম নেন।  দীর্ঘ ৬৪ বছর তিনি সংবাদপত্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রেখে গেছেন। ১৯৫০ সালে দৈনিক ইনসাফে যোগদানের মাধ্যমে তার সাংবাদিকতা জীবন শুরু। ঐ বছর তিনি তৎকালিন দৈনিক পাকিস্থান অবজারভারে যোগ দেন। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের পর কর্তৃপক্ষ পাকিস্থান অবজারভার বন্ধ করে দিলে তিনি দৈনিক সংবাদে যোগ দেন। অবজারভার খুলে দেওয়া হলে ১৯৫৪ সালে তিনি সেখানে আবার যোগ দেন। ১৯৭১ সাল পর্যন্ত তিনি পাকিস্তান অবজারভারে রিপোর্টার,স্পোর্টস রিপোর্টার, বার্তা সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।   ১৯৭১ সালে যুদ্ধের সময় বিবিসি,সানডে টাইমস প্রভৃতি পত্রিকার সংবাদদাতা হিসাবে তিনি রণাঙ্গন থেকে সংবাদ প্রেরণ করতেন। স্বাধীনতার পর তিনি বিটিভির  মহাব্যবস্থাপক, মর্নিং নিউজের  সম্পাদক  হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি  স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হোন। ১৯৭৮ সালে এবিএম মূসা ব্যাংককে অবস্থিত জাতিসংঘের পরিবেশ কার্যক্রমের (এসকাপ) এশিয়া প্যাসেফিক অঞ্চলে আঞ্চলিক পরিচালক পদে যোগ দেন। দেশে ফিরে  এসে  ১৯৮১ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ প্রেস  ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক এবং ১৯৮৫ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত বংলাদেশ সংবাদ সংস্থার মহাব্যবস্থাপক ও প্রধান সম্পাদক ছিলেন। ২০০৪ সালে তিনি কিছুদিন দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এবিএম মূসা জাতীয় প্রেসক্লাবের চারবার সভাপতি এবং তিনবার সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পাকিস্তান সাংবাদিক ইউনিয়নের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং পূর্ব পাকিস্থান সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক ছিলেন। এবিএম মূসা একুশে পদকসহ দেশী বিদেশী নানা পুরুষ্কারে ভুষিত হয়েছেন। এবিএম মূসা  জীবনের শেষদিনগুলোতে একজন দর্শক প্রিয়  আলোচক এবং সংবাদ বিশ্লেষক হিসাবে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের  অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে গেছেন।