Thu. May 1st, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

4kখােলা বাজার২৪।। শুক্রবার, ৭ এপ্রিল ২০১৭: বিদায়ী টি-টোয়েন্টি খেলতে নেমেছেন তবে চেহারার কোথাও বিষণ্ণতার ছাপ নেই। ব্যাটসম্যানরা মিলে স্কোরবার্ডে ১৭৬ রান তুলে দিলেন। ম্যাচজয়ের অর্ধেক রসদ তখন চলে এসেছে। তবে মাশরাফি বিন মুর্তজা তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলতে নারাজ। প্রথম ওভারেই সাকিবকে নিয়ে এলেন আক্রমণে। প্রথম বলেই সপাটে ব্যাট চালিয়ে সাকিবকে বাউন্ডারি ছাড়া করলেন কুশল পেরেরা। গ্যালারিতে লঙ্কান সমর্থকরা ঝড় তুলেছেন। মাশরাফি তখনো নিশ্চুপ। তিনি জানেন তাঁকে হতাশ করবেন না তাঁর সেরা অস্ত্রটি।

দ্বিতীয় বলেই কুশল পেরেরার স্টাম্প উড়িয়ে দিয়ে অধিনায়কের আস্থার দারুণ প্রতিদান দিলেন সাকিব। এই জায়গাতেই সেরা মাশরাফি। তিনি জানেন, কখন কী করতে হয়। ম্যাচের কোন পরিস্থিতিতে কাকে ব্যবহার করলে সবচেয়ে ভালো আসবে সেটা তাঁর চেয়ে ভালো জানেন না আর কেউই।

ফিরতি ওভারে আবার সাকিবকেই বলের ভার তুলে দিলেন মাশরাফি। এবারও ম্যাশের পরীক্ষায় উতরে গেলেন সাকিব। মুনাবিরাকে মাহমুদউল্লাহর তালুবন্দি করালেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।

সাকিবকে দুই ওভার বল করিয়ে বিশ্রামে রাখলেন। পরের ওভারে মিরাজের হাতে তুলে দিলেন বল। ব্যাটের পর টি-টোয়েন্টির অভিষেক ওভারটা ভালো হলো না মিরাজের।

সবাই ভেবেছিলেন স্পিনার মার খাচ্ছে ভেবে আক্রমণে পেসার নিয়ে আসবেন মাশরাফি। তবে না, মাহমুদউল্লাহর হাতে বল তুলে দিলেন তিনি। সবচেয়ে বড় উইকেটটা এলো সেই ওভারেই। বিপজ্জনক হয়ে ওঠা অধিনায়ক উপুল থারাঙ্গাকে ফিরিয়ে দিয়ে সবচেয়ে বড় ব্রেক থ্রুটা এনে দিলেন মাহমুদউল্লাহ। এর পরের ওভারটায় ম্যাচটা বাংলাদেশের পকেটে তুলে দিলেন মুস্তাফিজ। পরপর দুই বলে মিডল অর্ডারের স্তম্ভ গুনারত্নে ও সিরিবর্ধনেকে ফিরিয়ে দিলেন কাটার মাস্টার।

ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন থিসারা পেরেরা ও চামারা কাপুগেদারা। ৫৮ রানের জুটি গড়ে শ্রীলঙ্কাকে ম্যাচে ফেরান এই দুজন। এই সময়ে আবার আক্রমণে সাকিবকে ফিরিয়ে আনেন মাশরাফি। ওভারের পঞ্চম বলে থিসারা পেরেরাকে ফিরিয়ে দিয়ে বাংলাদেশের জয়টা নিশ্চিত করে দেন সাকিব। শেষ পর্যন্ত বিদায়ী ম্যাচে মাশরাফিকে জয় উপহার দেন সতীর্থরা। ৪৫ রানের জয় দিয়ে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারটা ইতি টানলেন মাশরাফি।

সঙ্গত কারণেই বাংলাদেশের সেরা অধিনায়ক বলা হয় মাশরাফিকে। সতীর্থদের সক্ষমতা ও যোগ্যতা সম্পর্কে তাঁর চেয়ে বেশি জানে না আর কেউই। কাকে কখন ব্যবহার করতে হবে সেই বিষয়ে সব সময় মুনশিয়ানার পরিচয় দিয়েছেন মাশরাফি। নিজের বিদায়ী টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও এর ব্যত্যয় ঘটল না। সেরা অধিনায়ককে সব সময় মিস করবে বাংলাদেশের ক্রিকেট।