খােলা বাজার২৪।। শুক্রবার, ৭ এপ্রিল ২০১৭: সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের প্রতিটি বাজারে চাল সহ বিভিন্ন প্রকার দ্রব্য মুল্য নিয়ন্ত্রনহীন হয়ে পড়েছে। নিয়ন্ত্রন রাখতে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবী জানিয়েছেন সর্বস্থারের জনসাধারন। কেননা উপজেলায় একের পর একে হাওর ডুবে যাওয়ায় অকালা বন্যায় ফসল হানীর ঘটনা ঘটেছে। এ কারনে সুবিধা ভোগী ব্যবসায়ীরা চাল সহ নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যে কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে বেশি মুনাফা লাভের আশায় দাম বাড়িয়েছে। উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের উত্তর শ্রীপুর,দক্ষিন শ্রীপুর,বাদাঘাট,তাহিরপুর সদর,বালিজুড়ী সহ প্রতিটি ইউনিয়নের বাজারের ব্যবসায়ীরা চালের বস্তা প্রতি ২১০০টাকার চালের বস্তায় ৩-৪টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে সুবিধা ভোগী ব্যবসায়ীরা। এমন সংবাদ শুনে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করে সবাইকে সর্তক করে দেওয়া হলেও কোন পরিবর্তন হয় নি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে লোকজন আসলেই সব ঠিকটাক থাকে যেই বাজার থেকে চলে যায় এর পর যা হবার তাই। উপজেলার সচেতন নাগরিকগন জানান,উপজেলা ৭টি ইউনিয়নের প্রতিটি বাজারের জনসাধারনের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কোন ভাবেই যাতে সুবিধা বাদী ব্যবসায়ীরা বাড়াতে না পারে সে বিষয়ে প্রতিদিন বাজার মনিটরিংয়ের করা খুবেই প্রয়োজন। এবং অভিযোগ করার জন্য প্রতিটি বাজারে এক ১-২টি মোবাইল নাম্বার সাইন বোর্ডে টানানো প্রয়োজন। এবং এই ফোন নাম্বারটি যেন একজন আইনশৃংখলা বাহির্নীর ও উপজেলা প্রশাসনের লোকজনের কাছে থাকে। যে বাজারে চাল সহ অন্যান্য দ্রবের দাম বাড়াবে সে বাজার থেকেই ঐ ফোন নাম্বারে ফোন দিয়ে বাজার ও দোকানের নাম বলে দিলে তাৎক্ষনিক ঐ দোকানীর বিরোদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিলে বাজারের ঐসব ব্যবসায়ীগন কোন অনিয়ম করতে সাহস ও সুযোগ পাবে না। ক্রেতারা জানান,হাওর ডুবে যাওয়ায় সুবিধা বাদী ব্যবসায়ীরা সংকট দেখিয়ে দাম বেশি নিচ্ছে। হাওর ডুবার সাথে সাথেই বাজারে যে দোকান দার চাল ষ্টক করেছিল তা সরিয়ে নিয়ে সংকট দেখাচ্ছে। তাহিরপুর বাজারের ব্যবসায়ী বিশ্বৎজি রায় বলেন,আমাদের এলাকায় অকাল বন্যায় হাওরের একমাত্র বোরো ধান পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় আমি সব সময় যে মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য বিক্রি করছি সেই দামেই এখনও বিক্রি করছি আর করব। তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল জানান,যারা বর্তমান সময় কে পুঁিজ করে বেশি লাভের আশায় চাল সহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্যে দাম বাড়াবে তাদের বিরোদ্ধে আইনানুগ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান,চাল সহ নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যের কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে যাতে করে দাম বাড়াতে না পারে সকল ব্যবসায়ীকে মাইকিং ও ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলেছি। এর পরেও যদি কেউ চাল সহ বিভিন্ন দ্রব্যের বৃদ্ধি করে তাদের বিরোদ্ধে কঠিন আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।