খােলা বাজার২৪।। সোমবার, ১০ এপ্রিল ২০১৭: শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ব্যাপক ভাবে ডায়রিয়া দেখা দিয়েছে। ডায়রিয়া পাশাপাশি আমাশয়, নিম্যোনিয়া ও ভাইরাজ জ্বরের প্রবনতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ঋতুর গড়মিলের কারণে আবহাওয়ার বৈশ্যিক পরিবর্তনের কারণে এমন পরিস্থিতি হয়েছে বলে পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের ধারণা। ফাল্গুন চৈত্র এ দু’মাস বসন্ত ঋতুর আবহাওয়া বিরাজ করার কথা। কিন্তু বসন্ত ঋতু থাকলেও বসন্তের আবহাওয়া লক্ষ করা যাচ্ছে না। উল্লেখ্য, বসন্ত ঋতু নেই, কিন্তু বসন্ত আছে। গ্রামে গ্রামে প্রায় পরিবারের লোকদের জল বসন্ত আক্রান্ত হয়েছে। জল বসন্ত ছাড়াও ভিন্ন প্রজাতের বসন্ত মাঝে মধ্যে লক্ষ করা যায়। আবহাওয়ার বিরূপ প্রভাবের কারণে জীব-বৈচিত্রেও দেখা দিয়েছে বিভিন্ন রোগ-বলাই। বর্তমানে ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে বহু লোক ঝিনাইগাতী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। যারা চিকিৎসাধীন রয়েছে তারা হলেন ঝিনাইগাতী সদর ইউনিয়নের খৈলকুড়া গ্রামের উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছা. লাইলী বেগম (৩০), ঝিনাইগাতী গ্রামের আম্বিয়া (২৬), সারি কালিনগর গ্রামের মানিক মিয়া (৩৫), জারুলতলা গ্রামের ছালেহা (৪০), জহুরুল ইসলাম (৩০), দুধনই গ্রামের হিমুসহ (২১) আরও অনেকেই চিকিৎসাধীন রয়েছে। এছাড়া জল বসন্তে আক্রান্ত হয়েছে যারা, সদর ইউনিয়নের মোল্লাপাড়া গ্রামের মনোয়ার হোসেন (৪২), নলকুড়া ইউনিয়নের রাংটিয়া গ্রামের হাবিল মিয়া (২৪), ঝিনাইগাতী সদর গ্রামের মরিয়ম বেগম (২৩), শিশু মিরা (০৭) হাওয়া (৮ মাস), সারা (০৭ মাস), নুসরাত (০৮) খাদিজা (২০), সাব্বির মিয়া (০৮) ও মঞ্জুআরাসহ (৪৫) আরও অনেকের। প্রকাশ থাকে যে, উক্ত হাসপাতালে ডায়রিয়া, আমাশায় ও জল বসন্তের প্রয়োজনীয় ঔষুধ না থাকায় অনেক দরিদ্র রোগীর বাহির থেকে ঔষধ ক্রয় করতে হচ্ছে। এতে অসহায় দরিদ্র রোগীদের ঔষধ ক্রয় করা সাধ্যের বাহিরে। প্রকাশ থাকে যে, অত্র ঝিনাইগাতী উপজেলার অধিকাংশ লোক খেটে খাওয়া দিন মুজুর, আদিবাসী কোচ-হাজং ও দরিদ্র কৃষক। এরা দিন এনে দিন খায়, নূন আনতে পান্তা ফুরায়। তাদের পরিবার পরিজনের খাদ্য চাহিদা মিটাতেই হিমশিম খায়। তারপর বাড়তি ঝামেলা ও রোগ বলাই দেখা দিলে তাদের মাথার উপর যেন বজ্রাঘাত পড়ে। তাই অত্র উপজেলাবাসীর দাবী অসহায়, দরিদ্র ও ছিন্নমূল লোকদের চিকিৎসা সেবায় প্রয়োজনীয় ঔষধ-পত্র অত্র হাসপাতালে প্রদানের দাবী জানিয়েছে। এ ব্যাপারে ঝিনাইগাতী হাসপাতালে গিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ টিএইচ এ সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে জানা যায়, হাসপাতালের খুদ কর্মকর্তা নিজেই ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত। পরে ডা. এ.এস.এম মফিদুল ইসলাম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ডায়রিয়া রোগে প্রনিয়িত আসছে এবং এসমস্ত রোগীদেরকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে। ভর্তিকৃত রোগীদের আমরা যথাসাধ্য চিকিৎসা সেবা দিচ্ছি। বহু রোগী চিকিৎসা সেবা নিয়ে সুস্থ্য নিয়ে বাড়ি ফিরেছে। সরকারী ভাবে যে সমস্ত ঔষধ আমাদের হাসপাতালে আছে তা দিয়ে আমরা রোগীদের সেবা দিচ্ছি। তবে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ঔষধ না থাকায় মাঝে মধ্যেই বিপাকে পড়তে হয়।