Thu. May 1st, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

4kখােলা বাজার২৪।। মঙ্গলবার, ১১ এপ্রিল ২০১৭: সিলেটের চাঞ্চল্যকর সামিউল আলম রাজন হত্যা মামলায় কামরুলসহ চার আসামির ফাঁসি বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
রায়ে আসামি নুর মিয়া ছাড়া নিম্ন আদালতের দেয়া সব আসামির সাজা বহাল রেখেছেন। হাইকোর্ট আসামি নুর মিয়ার যাবজ্জীবন থেকে কমিয়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন।

এর আগে ১২ মার্চ রোববার ১৯তম দিনে শুনানি শেষে রায়ের এই দিন ধার্য করেন ওই হাইকোর্ট বেঞ্চ। ৩০ জানুয়ারি আসামিদের করা আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শুরু হয়।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে পেপারবুক থেকে উপস্থাপন করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জহিরুল হক জহির। সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আতিকুল হক সেলিম ও বিলকিস ফাতেমা। আসামিপক্ষে আছেন আইনজীবী নূর আহমেদ।

২০১৫ সালের ৮ জুলাই চুরির অপবাদে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের কুমারগাঁও বাসস্ট্যান্ডসংলগ্ন শেখপাড়ায় নির্যাতন করে হত্যা করা হয় জালালাবাদ থানার বাদেয়ালি গ্রামের সবজি বিক্রেতা শিশু রাজনকে।

লাশ গুম করার সময় ধরা পড়ে একজন। পরে পুলিশ বাদী হয়ে জালালাবাদ থানায় মামলা করে। ফেসবুকে প্রচারের উদ্দেশ্যে ওই নির্যাতনের ভিডিওচিত্র ধারণ করে নির্যাতনকারীরা।

এ মামলার দ্রুত বিচার শেষে ২০১৫ সালের ৮ নভেম্বর প্রধান আসামি কামরুলসহ চারজনকে ফাঁসির আদেশ দেন আদালত। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত অপর তিন আসামি হলেন চৌকিদার ময়না মিয়া ওরফে বড় ময়না, তাজ উদ্দিন বাদল ও জাকির হোসেন পাভেল। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পান আসামি নুর মিয়া। সাত বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয় কামরুলের তিন সহোদর মুহিত আলম, শামীম ও আলী হায়দারকে।

এ চার আসামির প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। আসামি দুলালকে এক বছরের কারাদণ্ড ও এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।