খােলা বাজার২৪।। বুধবার, ১২ এপ্রিল ২০১৭: আগামী ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটে পোল্ট্রি খাদ্যের উপকরণ আমদানিতে অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহার, সয়াবিন মিল আমদানির ওপর থেকে ১০ শতাংশ কাস্টমস শুল্ক মওকুফ, ভেজিটেবল প্রোটিন হিসেবে ব্যবহৃত ডিডিজিএস এসআরও-তে অন্তর্ভূক্তিকরণ, আমদানি পণ্যের এইচএস কোড জটিলতা নিরসন এবং কাঁচামাল আমদানিকারক ও সরবরাহকারীদের ওপর থেকে সবধরনের পরোক্ষ কর প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন প্রোল্ট্রি ব্যবসায়ীরা।
মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেল ‘খ্যাদ পুষ্টি নিরাপত্তা, নারীর ক্ষমতায়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে পোল্ট্রি শিল্প এবং বাজেট ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভা থেকে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের কাছে এসব দাবি জানানো হয়।
সভায় পোল্ট্রি ব্যবসায়ীরা সাশ্রয়ী মূল্যে ডিম ও মুরগির মাংস উৎপাদনের স্বার্থে পোল্ট্রি ফিড উৎপাদনকারী, আমদানিকারক ও সরবরাহকারীদের জন্য সবধরনের কাঁচামাল আমাদিনতে শুল্ক, অগ্রিম আয়কর, ভ্যাট ও এটিভি তুলে নেয়ার দাবি জানান। পাশাপাশি যে সুবিধাগুলো ইতোমধ্যে দেয়া হয়েছে তা ২০১৫ সাল পর্যন্ত বাড়ানোর দাবি জানানো হয়।
ব্যবসায়ীদের দাবির প্রেক্ষিতে অর্থমন্ত্রী বলেছেন, যখন পোল্ট্রি শিল্পে মড়ক (বার্ড ফ্লু) লাগে তখন এটি ধ্বংস করেছি। আমার নিজের অনেক খামার সে সময় ধ্বংস করি। এরপর থেকে এই খাত সংশ্লিষ্টরা যা চেয়েছেন তাই পেয়েছেন। আগামীতে যেসব পণ্যের পোল্ট্রি শিল্পের বাইরে অন্য ব্যবহার নেই সেসব পণ্যের কর কমানো হবে।
এ সময় মন্ত্রী দুধ উৎপাদনের বিষয়ে হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ৩৫ বছর আগে দুধের ঘাটতি ছিল ৮০ শতাংশ। এখনও সেই ৮০ শতাংশই ঘাটতি রয়েছে। আমরা ২০ শতাংশেই আটকে আছি। অথচ আজকে গাভীর একটু উন্নয়ন হলেই ঘাটতি কমে আসতো। এখন এটার উন্নয়নের চেষ্টা হচ্ছে। আমি আশাবাদী অবস্থার উন্নয়ন হবে।
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী ছায়েদুল হক, এফবিসিসিআই সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমেদ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডর সদস্য পারভেজ ইকবাল, বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি) সভাপতি মসিউর রহমান প্রমুখ।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী ছায়েদুল হক বলেন, পোল্ট্রি ব্যবসায়ীদের সবগুলো প্রস্তাব যৌক্তিক। আমি অর্থমন্ত্রীর কাছে পোল্ট্রি শিল্পের শুল্ক, অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।
মাতলুব আহমেদ বলেন, পোল্ট্রি ব্যবসায়ীদের দাবির প্রেক্ষিতে শুল্ক শূন্য করতে না পারলে, সর্বনিম্ন ৩-৪ শতাংশের যে হার রয়েছে তা যেন করা হয়। তবে এফবিসিসিআই’র পক্ষ থেকে দাবি থাকবে শুল্ক শূণ্য শতাংশ করার।
ভ্যাটের বিষয়ে মাতলুব বলেন, ১৫ শতাংশ ভ্যাট অনেক বেশি। আমাদের দাবি থাকবে ভ্যাটের হার কমিয়ে ৭ শতাংশ করার। সবখাতের জন্য ভ্যাটের এই হার করা সম্ভাব না হলেও পোল্ট্রি শিল্পের জন্য ভ্যাট হার কমানো উচিত।