খােলা বাজার২৪।। বৃহস্পতিবার, ১৩ এপ্রিল ২০১৭: সানরায়জার্স হায়দরাবাদের সমথর্কেরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন তাঁর জন্য। উইনিং কম্বিনেশন ভেঙে মুস্তাফিজুর রহমানকে একাদশে নেওয়ার পক্ষেই পড়েছিল বেশিরভাগ ভোট। হবে না-ই বা কেন? গত মৌসুমের শিরোপা জয়ের পেছনে যে ব্যপক অবদান ছিল বাংলাদেশের এই বাঁহাতি পেসারের। কিন্তু এবারের মৌসুমে নিজের প্রথম ম্যাচে নামের প্রতি মোটেই সুবিচার করতে পারলেন না ‘ফিজ’। তাঁর দলও চার উইকেটে হেরে গেল মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের বিপক্ষে। আইপিএল সত্যিই দেখল অন্য এক মুস্তাফিজকে।
প্রথমে ব্যাটিং করে হায়দরাবাদ সংগ্রহ করেছিল ১৫৮ রান। বল হাতে তাদের শুরুটা্ও হয়েছিল দারুণ। প্রথম পাঁচ ওভারের মধ্যেই সাজঘরে ফিরেছিলেন জস বাটলার ও রোহিত শর্মা। ষষ্ঠ ওভারে বোলিং করতে এসেছিলেন মুস্তাফিজ। আরও একটি উইকেট পতনের আশাই হয়তো ছিল হায়দরাবাদ সমর্থকদের মনে। কিন্তু তাদের হতাশ করে দিয়ে এই ওভারে মুস্তাফিজ দিয়েছেন ১৯ রান। এটাই টি-টোয়েন্টিতে তাঁর সবচেয়ে খরুচে ওভার। ওক ওভারেই হজম করেছেন তিনটি চার ও একটি ছয়।
এরপর আবার তাঁকে বিরতি দিয়েছিলেন অধিনায়ক ওয়ার্নার। আবার বল করতে এসেছিলেন ১৩তম ওভারে। এবার তিনি দিয়েছেন ১১ রান। কায়রন পোলার্ড মেরেছেন বড়সড় একটা ছয়। ১৯তম ওভারে নিজের তৃতীয় ওভারটি যখন করতে এসেছেন তখন নিশ্চিতই হয়ে গেছে হায়দরাবাদের হার। এবার চার বলে দিয়েছেন চার রান। সব মিলিয়ে ২.৪ ওভার বোলিং করে মুস্তাফিজ দিয়েছেন ৩৪ রান। ছিলেন উইকেটশূণ্য।
প্রথম দুই ম্যাচের মতো আজও দারুণ বোলিং করে নজর কেড়েছেন আফগানিস্তানের লেগস্পিনার রশিদ খান। চার ওভার বল করে মাত্র ১৯ রানের বিনিময়ে নিয়েছেন একটি উইকেট। তিনটি উইকেট পেয়েছন ভুবনেশ্বর কুমার।
৩৬ বলে ৪৫ রান করে মুম্বাইয়ের জয়ের নায়ক নিতিশ রানা। ৩৯ ও ৩৭ রানের গুরুত্বপূর্ণ দুটি ইনিংস এসেছে পার্থিব প্যাটেল ও হার্দিক পান্ডের ব্যাট থেকে।
গত মৌসুমের শিরোপাজয়ী হায়দরাবাদ এবারও শুরুটা করেছিল দারুণভাবে। জিতেছিল প্রথম দুটি ম্যাচ। তৃতীয় ম্যাচে সেই উইনিং কম্বিনেশন ভেঙেই মুস্তাফিজকে একাদশে ঢুকিয়েছিল ডেভিড ওয়ার্নারের দল। কিন্তু ভক্ত-সমর্থকদের হতাশই করেছেন মুস্তাফিজ।