খােলা বাজার২৪।। শনিবার, ১৫ এপ্রিল ২০১৭: সপ্তাহের ব্যবধানে (৯ থেকে ১৩ এপ্রিল) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেনে হওয়া কোম্পানিগুলোর ব্যাপক বিক্রয় চাপে বাজারের সার্বিক লেনদেন কমেছে ২৫ শতাংশ। একই সময় বাজারের সার্বিক মূল্য সূচক কমেছে ৯০ পয়েন্ট। ডিএসই’র সপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা গেছে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহে ডিএসইতে ৩৩৩টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১০০টির, কমেছে ২০১টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৩১টির। এ সময় ডিএসইতে ১০৯ কোটি ৪২ লাখ ১৩ হাজার ৩৯৪টি শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে শেয়ার লেনদেন কমেছে ১১.৪১ শতাংশ।
গত সপ্তাহে ৫ কার্যদিবসে ডিএসইতে ৩ হাজার ৫৯৩ কোটি ২৩ লাখ ৯২ হাজার ২৬৯ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর আগের সপ্তাহের ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৪ হাজার ৭৯৩ কোটি ৭৫ লাখ ৭২ হাজার ৮৬২ টাকা। সে হিসাবে সার্বিক লেনদেন কমেছে ২৫.০৪ শতাংশ।
এদিকে গত সপ্তাহে ডিএসইতে দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছে ৭১৮ কোটি ৬৪ লাখ টাকা, যা আগের সপ্তাহে ছিল ৯৫৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ আগের সপ্তাহের তুলনায় ডিএসইর দৈনিক গড় লেনদেন কমেছে ২৫.০৪ শতাংশ।
মোট লেনদেনের ৯৫.৮৫ শতাংশ ‘এ’ক্যাটাগরিভুক্ত, ২.৪৪ শতাংশ ‘বি’ ক্যাটাগরিভুক্ত, ০.৯৮ শতাংশ ‘এন’ক্যাটাগরিভুক্ত এবং ০.৭৪ শতাংশ ‘জেড’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে লেনদেন হয়েছে।
এদিকে গত সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৯০.৫৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫৬৪৫.৮৬ পয়েন্টে। গত সপ্তাহে ডিএসই`র শরিয়াহভিত্তিক কোম্পানিগুলোর মূল্য সূচক ডিএসইএস ১৭.৮৩ পয়েন্ট কমে ১২৯৪.৮৮ পয়েন্টে স্থিতি পায়। পাশাপাশি ডিএস-৩০ সূচক ৪৬.৮৬ পয়েন্ট কমে ২০৮৭.৩৪ পয়েন্টে স্থিতি পায়।
সপ্তাহের শুরুতে ডিএসই’র বাজার মূলধন ছিল ৩ লাখ ৮২ হাজার ৩৫৯ কোটি টাকা। সপ্তাহের শেষে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৭৮ হাজার ৩৪৭ কোটি টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ১.০৫ শতাংশ।
সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে টার্নওভার তালিকায় শীর্ষে ছিল আর্থিক খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানি লংকাবাংলা ফাইন্যান্স। কোম্পানিটির ১৬৮ কোটি ৪৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়, যা ডিএসইর সর্বমোট লেনদেনের ৪.৬৯ শতাংশ। টার্নওভারে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল আইডিএলসি ফাইন্যান্স, কোম্পানিটির ১১১ কোটি ৮৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। ১০৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মধ্য দিয়ে টার্নওভার তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে উঠে আসে আরএসআরএম স্টিল।
এ ছাড়াও টার্নওভার তালিকায় থাকা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে- সিটি ব্যাংকের ৯৮ কোটি ১০ লাখ টাকা, ব্র্যাক ব্যাংকের ৯৭ কোটি ৬৯ লাখ টাকা, বেক্সিমকোর ৯৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা, বেক্সিমকো ফার্মার ৮৭ কোটি ৭৮ লাখ টাকা, ইভেন্স টেক্সটাইল ৮৪ কোটি ১১ লাখ টাকা, রিজেন্ট টেক্সটাইলের ৮৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকা ও সাইফ পাওয়ারটেকের ৭৯ কোটি ৮১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়।